• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল শিক্ষার্থী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল শিক্ষার্থী

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে । শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহের আয়োজন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।

এসময় কনে পক্ষকে বাল্য বিয়ে আয়োজন করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই কিশোরী মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী (১৩)।

জানা গেছে, মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ের সাথে উপজেলার বিজয়নগরের পাহাড়পুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে সজিব (২০) বিয়ে ঠিক করা হয়। কনের বাড়িতে চলে বিয়ের আয়োজন। আত্মীয় স্বজনরা সবাই বাড়িতে উপস্থিত। বর কনের বাড়িতে আসার আগ মুহুত খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে কনের হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুমানা আক্তার।

পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন। কনের সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন করেন তার অভিভাবক। এসময় বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের বাবাকে ২হাজার টাকা জরিমানা করা করা।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম নয়াদিল গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ হচ্ছে। তারপর ওই বাড়িতে আমরা হাজির হই। তখন বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেনি। মেয়ের বাবাকে এই বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সব বলে দেন। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে কনে পক্ষকে বুঝিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে হবে না এই মর্মে মুচলেকা দেন। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে কনের পিতাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads