• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কলমাকান্দায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবৃধূর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০২১

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় শান্তা আক্তার (২০) নামে চার মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূ মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি ফাঁস নিয়ে আত্বহত্যা করেছে। আর মৃত্যুকে ঘিরে সন্দেহ পোষণ করছেন নিহতের বাবা মানিক আলী।

আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে গৃহবধূর মৃতদেহ স্বামীর বসতঘর থেকে উদ্ধারের পরে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন কলমাকান্দা থানা পুলিশ।

নিহত শান্তা আক্তার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী চেংগ্নী গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী এবং তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার হারিনা গ্রামের মানিক আলীর মেয়ে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শান্তার আক্তারের সাথে গত এক বছর পুর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় লেংগুরা ইউনিয়নের চেগ্নী গ্রামের কামাল মিয়ার সাথে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর শ্বাশুড়ি দেখতে পান শান্তা আক্তার স্বামীর ঘরে ধর্নার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। ডাক চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যারাসহ বাড়ির আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে ওই দিন দিবাগত রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে থানা নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত গৃবধূর বাবা মানিক আলী জানান, স্বামীসহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য মারধর করতো। এ বিষয়ে প্রায় সময় ফোনে আমাকে জানাতো শান্তা। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মেয়ে জানায় বাবা আমাকে মারধর করছে। পরে ফোন কেটে মেয়ের ম্বশুর আসাদ মিয়াকে ফোন দেই। মারধরের বিষয়টি জানাতে চাইলে তিনি আমাকে জানান এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। এটা নিয়ে আপনি বা আপনারা কেউ কথা বলবেন না। বিষয়টি আমি দেখতেছি। পরে ওইদিন রাতে মেয়ের শ্বশুর আসাদ আলী আমাক ফোনে জানায় আপনার মেয়ে গলা ফাঁস নিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে আজ (শনিবার) সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে আত্মীয় স্বজনসহ সরাসরি কলমাকান্দা থানায় চলে আসি। থানায় এসে মেয়ের লাশ দেখতে পায়। শান্তার মৃত্যুকে ঘিরে আমি ভীষনভাবে সন্দেহ পোষন করছি এবং ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য থানায় অভিযোগ দিবেন বলে জানান তিনি।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান সাংবাদিকদের জানান, রাতেই লাশ উদ্ধার করে সীমান্ত এলাকা থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নিহতের বাবা ও আত্মীয় স্বজনসহ থানায় এসেছেন। তারা সন্দেহ করছেন এ মৃত্যুর পেছনে রহস্য রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে নিহতের বাবার অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ দাখিলে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads