• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
টাঙ্গাইল মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ঢল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

টাঙ্গাইল মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ঢল

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০২১

কঠোর লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক বাসস্ট্যান্ডগুলোতে কর্মজীবি নারী ও পুরুষপোশাক শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। যে যেমন পরিবহন পাচ্ছেন তাতে চেপেই গন্তব্যে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের এমন উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এছাড়াও ভোরের দিকে অনেক বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

দুপুর ১২টার দিকে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাসে গাজীপুরের চন্দ্র পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৪০০-৫০০টাকা। ৬ থেকে ৭টা বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ভূঞাপুর হতে চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৬০০টাকা করে।

দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকামুখী মানুষের ঢল। এর ফলে কর্মস্থলে ফেরা এসব শ্রমজীবি মানুষজন খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে এ সকল পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা। এ যাত্রায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সকাল থেকে থেমে থেমে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভিজে খোলা ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা।

মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, মির্জাপুর অংশে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। এছাড়াও পরিবহন না পেয়ে অনেককেই পায়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা এসব বিষয়ে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় পোশাক কারখানা শ্রমিক ইতি, ইশরাত, সুফিয়ার সাথে। তারা জানান, ছুটি নিয়ে ঈদে বাড়িতে আসছিলাম। পরিবহন খুলে না দিয়ে কিভাবে পোশাক কারখানা চালু করলো। এখন শ্রমিকরা কিভাবে কর্মস্থলে ফিরবে। কিছু যানবাহন পাওয়া যায় তাতেও তিনগুন ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার যাই বলুক না কেন, নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদান করতে না পারলে তাদের চাকরি থাকবে না বলেও জানান তারা।

রফিকুল ইসলাম কাজ করেন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। কারখানা খোলার ঘোষণা আর কোম্পানী থেকে নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে তাকে। এ কারণে চাকরি বাঁচানোসহ পরিবার নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads