কালীগঞ্জে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন বটগাছটি এখন মৃতপ্রায়। মরে যাচ্ছে গাছটির পাতা, ভেঙে পড়ছে ডাল। যত্নের অভাবে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি।
১৯৮২ সালে বিবিসির জরিপে বটগাছটিকে এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ৩০০ বছর ধরে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুইতলা মল্লিকপুরে ২ দশমিক ৮ একরের বিশাল মাঠজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে দেড়শ ফুটের বেশি উচ্চতার বটগাছটি।
জনপ্রিয় আছে একটি কুয়ার পাড়ে বড় হয় গাছটি। ধীরে ধীরে এটির ৪৫টি উপবৃক্ষ গজায়। ফলে জায়গার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১ একর। ১৯৮২ সালে বিবিসির জরিপে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছের স্বীকৃতি পায় এটি। বটগাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা ও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে একটি রেস্টহাউজ নির্মাণ করা হয়। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটিও এখন বাসযোগ্য নেই। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ও দর্শণার্থীরা জানান, বটগাছটির দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখির কলরব, ছায়াশীতল পরিবেশ মুগ্ধ করে। বটগাছটি সংরক্ষণ ও ঐতিহ্য ধরে রাখলে এখানে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনের পাশাপাশি রাজস্বও বাড়বে। প্রায় ৩০০ বছর ধরে ১১ একর জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেড় ফুটের বেশি উঁচু বটগাছটি।