• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
সিরাজদিখানে ৫০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সিরাজদিখানে ৫০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

  • সালাহউদ্দিন সালমান, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
  • প্রকাশিত ১১ আগস্ট ২০২১

মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০টি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বাকি ৫০টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এমনটাই সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল, উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও এবং বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে।পরিপাটি গোছানো ঘর এটাচ করা বাথরুম ১ টি পাকশালাসহ দুই বেডরুমের একটি পরিপূর্ণ বাড়ি ।

সবুজ টিনের ছাউনি সমেত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া পঞ্চাশোর্ধ্ব মাফিয়ার বলেন, জন্মের পর স্বপ্ন ছিল ভালো একটা ঘরে থাকার।আমাদের ভাগ্য এমনই ভালো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শুধু ঘর নয় জমিসহ পাকা বাড়িই করে দিলেন। বালুচরের কয়রা খোলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মৃত মান্নাফের স্ত্রী বিধবা মিনু বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার সময় আমার ছেলেটি তখন কোলে, আমাদের জমি বা ঘর বলতে কিছু ছিল না। এই বুড়ো বয়সে এমন পাকাবাড়ি যার জন্য পাইছি সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করি।

বালুচরের কয়রা খোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের শমসের আলীর ছেলে রহিম বাদশা বলেন, আমার তিনটা মেয়ে একটা ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি এখন আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়িতে থাকি।আমাদের মতো গরীবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছে তার উত্তম ফলাফল আল্লাই দেবে আমাদের দোয়া তার জন্য সবসময় থাকবে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে আল্লাহ জান্নাত বাসী করবেনই।

কেয়াইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও এবং বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা ২ শতাংশ করে জায়গা সহ ভালো পরিবেশে ঘর পেয়েছেন তাদের অনেকেই প্রতিবন্ধী এবং হতদরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষেরা। 

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক বলেন,'মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাসজমির ওপর গৃহনির্মাণ করে জমির দলিলসহ ৫০টি উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গৃহহীনদের যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা। '

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্যও সুন্দর মনোরম পরিবেশে মানসম্মত ৫০টি পাকাবাড়ি নির্মাণ করে ২ শতক জমিসহ ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান, রেকর্ড সংশোধনী ফি জমা দানের ডিসিআর, সার্টিফিকেট, দাখিলা ইত্যাদি প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads