• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
নতুন ধানের দ্বিগুণ ফলন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নতুন ধানের দ্বিগুণ ফলন

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০২১

কম খরচের নতুন ধান চাষে খুশি কুমিল্লার কৃষকরা। এই ধান চাষে কম খরচের সাথে সময়ও কম ব্যয় হয়। দীর্ঘ খরায়ও এটি টিকে থাকতে পারে। ফলনও হচ্ছে দ্বিগুণ। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) এই বিনা ধান-২১ চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষকরা।

বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান. ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল সরকার মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদর্শনে দেখেন বিনা ধান-২১ চাষ করে প্রতি হেক্টরে কৃষক সাড়ে পাঁচ টন ধান পেয়েছেন। এই আউশ মৌসুমে অন্য ধান চাষ করে হেক্টরে পেতেন পৌনে তিন টন ধান। ফসলের প্রধান মৌসুম বোরোর মতোই ফলন হচ্ছে।

সূত্রমতে, আফ্রিকার নেরিকা-১০ ধানের জাত থেকে এই বিনা ধান-২১ উদ্ভাবন করা হয়। নেরিকার ফলন কম হতো। বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম গবেষণা করে এর ফলন বাড়িয়ে দেন। গাছের উচ্চতা কম বেশি ছিলো। সেগুলো সমান করা হয়। ধানের সাইজ চিকন করা হয়। বিনা ধান-২১ প্রথমবারের মতো কুমিল্লার মাঠে ৫০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। এতে ভালো ফলন এসেছে। আশা করা হচ্ছে,আগামীতে আউশ মৌসুমে কুমিল্লার মাঠে বিনা ধান-২১ এর আবাদ বাড়বে।

ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, কুমিল্লার মানুষ শৌখিন। তারা চিকন চাউল খেতে পছন্দ করেন। বিনা ধান-২১ এর চাউলও চিকন। এই কারণে এই ধান চাষে কৃষক ভালো লাভ পাবেন। এছাড়া এই ধান পানি ছাড়া ২০দিন টিকে থাকতে পারে, ২০দিন চুপচাপ থাকবে। পানি পেলে আবার বেড়ে উঠবে। তিনি বলেন, অন্য ধান চাষে হেক্টরে আগে পেতেন পৌনে তিন টন ধান। বিনা ধান-২১ চাষে প্রতি হেক্টরে কৃষক সাড়ে পাঁচ টন ধান পাচ্ছেন।

বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আফ্রিকার নেরিকা-১০ ধানের জাত থেকে এই বিনা ধান-২১ উদ্ভাবন করা হয়। নেরিকার ফলন কম হতো। তাই কৃষকের আগ্রহ কম ছিলো। গামা রশ্মি প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো হয়। গাছের কম বেশি উচ্চতা সমান করা হয়। মোটা ধানের সাইজ চিকন করা হয়। তাই এই ধান চাষ নিয়ে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে আউশ মৌসুমে উঁচু সবগুলো জমি বিনা ধান-২১এ হেসে উঠবে। এতে দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads