• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪২৯
পরকীয়ার বলি ডিস ব্যবসায়ী, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার নিহতের স্ত্রী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

পরকীয়ার বলি ডিস ব্যবসায়ী, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার নিহতের স্ত্রী

  • তুরাগ (উত্তরা)প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০২১

আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকার ডিস ব্যবসায়ী হাজী মোঃ ফজল হকের ছেলে এলিম সরকারকে (৪২)  নৃশংস হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভিকটিম মৃত এলিম সরকারের স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার তেলটুপি গ্রামের আঃ সামাদের ছেলে মো. রবিউল করিম পিন্টু (৩৫)।

মঙ্গলবার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার পিবিআই ঢাকা জেলা অফিস এক সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের  ২৭ শে মার্চ  রাত অনুমানিক ১০.০০টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে বাদীর ছেলে এলিম সরকার তাহার স্ত্রী সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট সকালে বাদীর পুত্র বধু কেমিলি ঘুম থেকে জেগে জরুরি প্রয়োজনে বাদীর বাড়িতে আসে। ্ওই দিন সকাল ১০টার দিকে কেমিলি বাড়িতে ফিরে যায়। এ সময় বাদীর ছেলে ভিকটিম এলিম সরকারকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে ২১ জুলাই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার রবিউল করিম পিন্টু আশুলিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইনম্যান হিসেবে চাকরি করে। চাকরির সুবাধে ভিকটিম এলিম সরকারের বাসায় বিদ্যুৎ এর মিটার লাগানোর কাজ করতে গিয়ে ভিকটিমের স্ত্রী কেমিলির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পিন্টুর।

বিষয়টি কেমিলির স্বামী টের পেয়ে গেলে তিনি তার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তা প্রকাশ করে দেবেন বলে জানান। এই ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে মারাত্মক দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত পরকীয়া বিষয়টি যাতে অন্য কেউ জানতে না পারে তার জন্য ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেমিলি এবং তার পরকীয়া প্রেমিক পিন্টু মিলে এলিম সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিক পিন্টু ভিকটিমের বাসায় দুজন ভাড়াটিয়া খুনি বাসা ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। তারা কাজটি না করতে পারায় পিন্টু নিজেই কাজটি করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ২৮ মার্চ সকাল অনুমান ০৯ টার দিকে  কেমিলির পরামর্শে পিন্টু তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কেমিলি রাতের বেলা দই এর সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে এলিম সরকারকে খাইয়ে দেয়। ঘুমের ট্যাবলেট গুড়া করে কেমিলিকে সরবরাহ করে পিন্টু। ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে এলিম সরকার নিস্তেজ হয়ে গেলে সকাল বেলা পিন্টু তার অপর সহযোগী নিয়ে বাসায় এসে চাকু দিয়ে কুপিয়ে এলিম সরকারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে এলিম সরকারের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ এর ডিভিআর খুলে নিয়ে যায়।  

বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ক্যামিলির স্ত্রী ডিস ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রচার করতে থাকে। মামলার আরো কোন আসামী জড়িত আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads