• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ টন মাছ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ টন মাছ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০২১

'বেশী করে মাছ চাষ করি বেকারত্ব দুর করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কনা দাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কনা দাস বলেন এ উপজেলার বেশীভাগ মানুষই অর্থনীতি উন্নয়নে মাছ চাষে যতেষ্ট ভূমিকা রাখছেন। মাছ চাষে বেশী লাভ হওয়ায় দিনের পর দিন এ চাষের পরিধি ও বাড়ছে। এ উপজেলায় বৎসরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ মে.টন মাছ। এখানে মাছের চাহিদা রয়েছে ৩৫৭৫মে.টন। উদ্ধৃত থাকছে ১১৪৫ মে.টন। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বাইরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, মাছ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব সময় চাষীদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় অনেক জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় বছরের পর বছর পড়ে আছে। এগুলো মাছ চাষের আওতায় আনা গেলে এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হান্নান খাদেম, কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন, জুটন বনিক, সাইফুল ইসলাম, নুরুন্নবী ভূইয়া, মহিউদ্দিন মিশু, জালাল হোসেন মামুন, অমিত হাসান আবির, সাদ্দাম হোসেন।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১০২.১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে মোট গ্রাম রয়েছে ১৩০টি। এরমধ্যে ছোট বড় পুকুরসহ প্রজেক্ট রয়েছে ২ হাজার ৮৭ টি,বিল রয়েছে ১৩টি ,নদী ৩টি, খাল ৩টি, ও প্লাবণ ভূমি রয়েছে ৮টি। সেইসাথে নিবন্ধিত জেলে ১৪৩০ ও মৎস্য চাষী রয়েছে ২১০৭ জন। তাছাড়া মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২১০ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ২শ ৭৬ জনকে।

চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, পাঙ্গাস,মৃগেল পুটি,স্বরপুটি, কারফিউ, তেলাপিয়া, বোয়াল, গ্রাসকাপ, নাইলোটিকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নানা প্রজাতির মাছ।

এদিকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাইকিং ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা, সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়, মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি সাফল্য নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মৎস্যচাষীদের মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানির গুনাগুন পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, মাছ চাষীদেরকে যেন নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads