• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
সড়কহীন সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে ২২ বছর ধরে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সড়কহীন সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে ২২ বছর ধরে

  • কাজী মফিকুল ইসলাম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • প্রকাশিত ৩০ আগস্ট ২০২১

উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ-কৃষ্ণনগর গ্রামের জনদুর্ভোগ লাঘবে খালের ওপর সংযোগ সড়কবিহীন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে সড়ক ছাড়া সেতুটি ২২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এলাকাবাসীর যেন কোনো কাজেই আসছে না। আজো সেতুটি চালু না হওয়ায় দুই গ্রামসহ আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের লোকদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে এলজিইডির অধিনে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের অর্থে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও আট ফুট প্রস্থের সেতুটি বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী জায়গায় একটি খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বনগজ- কৃষ্ণনগর এবং একই উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা ও বরিশল গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার কথা চিন্তা করেই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। নির্মাণের দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আজো কোনো সংযোগ সড়ক হয়নি। সেইসঙ্গে সড়ক নির্মাণে আজো কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই দুই গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। তাই অর্ধ কোটি টাকা খরচে নির্মিত সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এদিকে স্থানীয় লোকজন সড়ক নির্মাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানা গেছে। বর্ষাকালে এই দুই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন সংযোগ সড়কের অভাবে বছরের পর বছর মারাত্মক দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন। সেই সঙ্গে তারা আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে অনেকটাই বঞ্চিত রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, সেতুটিতে সড়ক না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজনের যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে।

ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক বাছির বলেন, গত দুই বছর আগে উপজেলা কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে রাস্তাটি কিছুটা সংস্কার করা হয়। টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে সেটি ভেঙে গেছে। বড় ধরণের বরাদ্দ ছাড়া এটি করা সম্ভব নয়। তাই বরাদ্দের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায়।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষ্ণনগর গ্রামে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বৃহত্তর কুমিল্লা প্রকল্পের (জিসিপি-৪) অধীনে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads