বন্যার পানি বসতবাড়ীতে থাকায় দুর্ভোগের শেষ নেই বন্যা কবলিতরা। বন্যা-বৃষ্টি ভাঙ্গনে একেবারে নাকাল হয়ে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। বন্যায় ঘরের টিন-বেড়া আসবাস পত্র নস্টসহ ঘরের মাটি সরে যাওয়ায় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তীব্র স্রোতের ভাঙ্গনে যমুনা অরক্ষিত অংশে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় শতশত পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
চৌহালী, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। দুর্যোগের মধ্যে আয় রোজগার না থাকায় এসব মানুষের মধ্যে চরম খাদ্য, ওষুধ ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত ডায়রিয়া ও হাত পায়ে ঘাসহ নানা রোগ। অনেক বসতভিটার চারপাশে পানি থাকায় শিশু-বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে বন্দী জীবযান করছে মানুষ।
এছাড়াও যারা এখনো বাঁধের উপর আশ্রিত রয়েছে বৃষ্টি তাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। পলিথিন মুড়ে দিয়ে অনেকে রাত জেগে থাকছে। যেন কস্টের শেষ নেই তাদের। সরকারী যেভাবে যে ১০ কেজি চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে তা এখনো অনেক পরিবার পায়নি। তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
চর মালসাপাড়া মহল্লার সোলায়মান হোসেন ও শিল্পী খাতুন জানান, বন্যায় ঘরবাড়ী প্রায় ৫ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের নিম্নাংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুধু আমার নয় আমার এলাকার শতাধিক মানুষের বসতবাড়ীর একই অবস্থায়।