• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লার ধর্মসাগরে মাছ শিকারে উৎসবের আমেজ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কুমিল্লার ধর্মসাগরে মাছ শিকারে উৎসবের আমেজ

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রতি বছরে ন্যায়ে এ বছরও কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগরে সৌখিন মৎস শিকারীদের মিলনমেলা বসছে। এ ধারাবাহিক শুক্রবার (৩সেপ্টেম্বর) থেকে গতকাল শনিবার(৫সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পর্যন্ত নগরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগরের পাড়ে বিভিন্ন জেলার স্থান থেকে আসা শিকারিরা জড়ো হয়ে মাছ শিকারে উৎসবে।

শনিবার বিকালে নগরীর ধর্মসাগরে দেখায় যায়, কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন। মৎস শিকারারী এ উৎসবে কুমিল্লা, ঢাকা,চট্টগ্রাম ছারাও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ শিকারের জন্য এসেছেন অনেকেই। ধর্মসাগরের চার পাড়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন কয়েক শ মৎস শিকারি। শনিবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত চলে এ মৎস শিকার উৎসব।মাছ শিকার দেখতে নগরী বিভিন্ন উপজেলার থেকে আসছেন হাজার পাঁচেক উৎসুক জনতার ।

এ মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাঙাশসহ দেশি প্রজাতির নানা জাতের মাছ। নগরের ধর্মসাগরপাড়ে উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধর্মসাগরের চার পাড়ে বাঁশ ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ৯০ টি মাচা করা হয়েছে। প্রতিটি মাচায় সর্বনিম্ন পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ আটজন পর্যন্ত মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি মাচার ফি ১৭ হাজার টাকা করে। এছাড়া ১০টি ভিআইপি মাচা করা হয়েছে, যেখানে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি মৎস্য শিকার করে। আর ৯০ টি মাচায় অন্তত ৫শতাধিক মৎস্য শিকারি অংশ নেন। ধর্মসাগরের পশ্চিম ও পূর্বপাশে সাধারণ জনগণ ও উত্তর-দক্ষিণ পাড়ে ভিআইপিরা মৎস্য শিকার করছেন।

ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়, রানীরকুঠিরের লাগোয়া উত্তর পাড় এবং কুমিল্লা জিলা স্কুলের লাগোয়া পূর্ব পাড় ও দক্ষিন পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৎস্য শিকারের প্রথম দিনে বড় মাছ তেমন ধরা না পরলেও ছোট আকারের মাছ আসছে,আশা করা যাচ্ছে, আজ বড় বড় মাছ শিকার করা যাবে।

মৎস শিকার করতে আসা সৌখিন মৎস শিকারী হেলাল উদ্দিন মজনু বলেন,শনিবার দুপুরে মাছের খাদ্য ছিটিয়েছি,এখন পর্যন্ত্র ২-৩ কেজি ওজনের মাছ পাচ্ছি, আজ শেষদিন বড় সাইজের মাছ এখনো পায়নি।তবে মাছ পাওয়া টা বড় বিষয় নয়, সবাই মিলে আনন্দটা উপভোগ করাই আসল মজা।সফল আয়োজনের জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার কামরুজ্জামান বলেন, এটা একটা উৎসবের মতো। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে দূরের জেলা থেকেও মানুষ এসেছে।আমরা প্রতিবছর আয়োজন করি ।গত বছর করোনা কারণে উৎসব করতে পারিনি।এদিন আসলে শিকারীদের মাঝে ঈদের দিন মতো। স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে।

উল্লেখ্য জেলার ১৪৫৮ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজ ধর্ম মাণিক্য বর্তমান কুমিল্লা নগরের ২৩ দশমিক ১৮ একর জায়গা দিঘি হিসেবে খনন করেন পানির সংকট মেটাতে। রাজার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর দিঘি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads