কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক মহালে শুঁটকি উৎপাদনের ধুম পড়েছে। সাগরপাড়ের এই শুঁটকি মহাল দেশের অন্যতম প্রধান শুঁটকি তৈরির স্থান। এখান থেকে প্রতিদিন ১৫ টন শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। তবে সোম ও শুক্রবার ২৫/৩০ টন শুঁটকি বড় বড় ট্রাকে করে বাইরে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিমানবন্দরের পশ্চিমে সাগরতীরের নাজিরারটেক এলাকায় বিশাল মহালে শুঁটকি উৎপাদন চলছে। গভীর সাগর থেকে জেলেরা মাছ ধরে এনে নাজিরারটেক ও ফদনারডেইল এলাকার শুঁটকি মহালের ঘাটে ভিড়ে। ব্যবসায়ীরা সেই মাছ কিনে ধুয়ে-মুছে শুঁটকি করার জন্য বাঁশের তৈরি মাচায় তুলে দেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ লইট্যা, ছুরি, পোপা, মাইট্যা, কামিলা, ফাইস্যা, রূপচান্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। দেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের সমুদ্র তীরবর্তী নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল। করোনা মহামারি ও মাছ ধরা বন্ধের পর আবারো সরগরম হয়ে উঠেছে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ।
শুঁটকি মহালের ব্যবসায়ী নুরুদ্দীন কোম্পানি জানান, এখানে রূপচাদা, ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্যা, পোপা, টেকচাঁদা, হাঙ্গর, ফাইস্যা ও নাইল্যামাছসহ ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকতা এএসএম খালেকুজ্জামান বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করা বিশেষজাতের ছোট আকৃতির মাছগুলো দিয়ে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। এখানে উৎপাদিত শুঁটকি শুধু কক্সবাজারে নয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোরসহ সারা দেশের মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি এখানে উৎপাদিত শুঁটকির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।