• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
কীটনাশক খেয়ে প্রবাসী ভাইকে ফোন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে যুবকের মৃত্যু

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সুদের টাকা দিতে না পারায়

কীটনাশক খেয়ে প্রবাসী ভাইকে ফোন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে যুবকের মৃত্যু

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০২১

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ৩ সন্তানের জনক মোঃসফিকুল ইসলাম(৩৫) বিষাক্ত কীটনাশক টেবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। এর আগে আজ দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের পুরাতন চর চাষী গ্রামের আব্দুল আজিজ এর ছেলে তিন সন্তানের জনক মো. সফিকুল ইসলাম সোমবার রাত ২টার দিকে গ্রামের পাশের কলাপাড়ার বিলের মধ্যে বিষাক্ত কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে পড়ে আছে বলে সে তার লিবিয়া প্রবাসী ভাইকে ফোন করে জানায়। এ সময় ভাইকে অনুরোধ করে তার সন্তানদের দেখে রাখতে। প্রবাসী ভাই তাৎক্ষণিক বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন বিলের মধ্য থেকে খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় শফিকুল কয়েক মাস আগে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বেদে পরিবারের এক ব্যক্তির কাছে থেকে ৯ লক্ষ টাকা সুদে আনেন। করোনাকালিন সময়ে তার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারছিল না। এই কারণে বেঁধে তার বাড়িতে এসে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সুদের টাকা দিতে না পেরে ওই বেদের ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।

এ বিষয়ে নিহতের চাচাতো ভাই মোসলেম মিয়া জানান,সফিকুল দীর্ঘদিন যাবৎ আর্থিক সমস্যার কারনে দেনাগ্রস্থ থেকে হতাশ ছিল,ধারনা করা হচ্ছে সেই হতাশা থেকেই কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত শফিকুলের স্ত্রী বলেন, সোমবার রাত ২ টার দিকে পোকা মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়েছে বলে জানতে পারে সাথে সাথে তাকে পাশের কুমিল্লা রায়পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।পথিমধ্যে সে মৃত্যুবরণ করে।

পরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা‌ হলে গজারিয়া থানার এস আই নুরুল হক, বাড়ি থেকে তার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে গজারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন,অপমৃত্যুর একটি সংবাদ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads