• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ভূঞাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বাস চলাচল বন্ধ

ভূঞাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০২১

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় পরিবহন শ্রমিকদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে আহত উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রনী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আজ বুধবার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাহী বাস ঢাকাবা টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়নি। গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে শ্রমিকদের মাঝে।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল ওহাব জানিয়েছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিবহন শ্রমিকদের হামলার ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রনী বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

ভূঞাপুর বাস-মিনিবাস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সুরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার জের ধরে বেশ কিছ ুশ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে ড্রাইভার, হেলপার গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক রয়েছে। ফলে গাড়ী পরিচালনার জন্য কোন ড্রাইভার, হেলপার পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফেডারেশনের পক্ষথেকে গাড়ী চলাচল বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রনী। এ সময় এলোপাথারি গাড়ি পার্কিংয়ের দায়ে দুই পরিবহন শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়। এতে উপস্থিত শ্রমিকরা হামলা চালায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপর। হামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রনীর নাক ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও শ্রমিক পরিবহন নেতাদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সকল পক্ষের সাথে আলোচনা হয়। শ্রমিক নেতারা ইউএনও ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ক্ষমা চান। পরে দুই পরিবহন শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত হলে স্থানীয় প্রশাসনকে মামলার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads