• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯
পরকীয়ার জেরে ফতুল্লার সুজন ফকির হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

পরকীয়ার জেরে ফতুল্লার সুজন ফকির হত্যা, গ্রেপ্তার ২

  • সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০২১

ফতুল্লায় মিশুক চালক সুজন ফকির (৪৫) হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
আজ সোমবার ভোরে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এলাকায় র‌্যাব-১১ ও ৫ এর একটি চৌকস দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর সদর দফতরে সাংবাদিক সমম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ড কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হত্যার পরিকল্পনাকারী নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার ডুমরাই সরকার পাড়া গ্রামের আফাজের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ (৩৭), হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী একই এলাকার মো. মহাকাত এর ছেলে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (২৮)।

নিহত সুজন ফকির নাটোর জেলার ভুলুদাসপুর থানার রামাগাড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন টগরের ছেলে। তিনি ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় শাহ আলমের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত ১৬ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার ঘটনায় ছেলে সজিব ফকির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যার পরিকল্পনাকারী আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সঙ্গে সুজন ফকিররের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এতে তার দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যে কারণে ৫ অক্টোবর আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আব্দুল মজিদের মনে সন্দেহ হয় তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে রয়েছে। তখন থেকেই সে তার ভাতিজা মোঃ মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে মজজেম হোসেন তার খালাতো ভাই হাসানকে (২২) সঙ্গে নিয়ে নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে ঘটনার আগের রাতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের বর্তমান ঠিকানায় যায়। অন্যদিকে আব্দুল মজিদ মোবাইল ফোনে সুজনকে মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে বলে। ভিকটিম সুজন ফকির মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে আসলে কথা আছে বলে অটোরিক্সায় করে নয়াবাজার এলাকায় নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। আসামিদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads