ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেছেন সন্তানের নৈতিক চরিত্র গঠন ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অভিভাবক হিসেবে মায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। জন্মের পর অসহায় শিশুকে শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে মা-ই কথা বলতে, পথ চলতে শেখান। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে একটি শিশুর সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমার প্রারম্ভিক ধাপ। মায়ের হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে যখন একটি শিশু প্রথমবারের মতো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখে, তখন শুরু হয় তার নতুন জগতে পথচলা। আর এই নতুন পথচলাকে আরো মসৃণ করতে একজন মায়ের সচেতনতাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই অপরিসীম।
আজ রোববার দুপুরে পৌর শহরের তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মা সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে তারাগন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির যৌথ উদ্যোগে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সন্তানের প্রতি মায়ের দায়িত্ব ও করণীয় বুঝাতে এ সমাবেশে করা হয়েছে। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, এলাকার বিশিষ্টজনরা স্বত:স্ফুর্ত ভাবে অংশ নেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এড. সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা নুরজাহান বেগম, সহ-কারী শিক্ষা কর্তাকর্তা মো. লুৎফুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ সেলিম শাহ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাহার মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মো. খোকন খান, মো. কবির, তারাগন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ তানজিল শাহ তচ্ছন প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন একজন শিক্ষার্থী তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটি পেয়ে থাকে তার পরিবার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। তাই একটি শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ সন্তার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রত্যেকটি মাকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিতে নিয়মিত মা-সমাবেশ আয়োজন সন্তানের সঠিক ও সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে মা সমাবেশের কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন প্রতিটি মায়ের উচিৎ তার সন্তরা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিসছে এবং ঠিকমত লেখাপড়া করছে কিনা। সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে হলে সর্ব প্রথম মায়ের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। সন্তানের প্রতি মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।