• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ক্ষতিপূরণ না দিয়েই নির্মাণকাজ শুরু

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ক্ষতিপূরণ না দিয়েই নির্মাণকাজ শুরু

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২১

শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা-নাওডোবা-কাঁঠালবাড়ি পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত মহাসড়কে ফোর লেন সড়কের জমি অধিগ্রহণ করে জমির মালিকের ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ না করে কাজিরহাট সেতু নির্মাণকাজ শুরু করার অভিযোগ করেছে জমির মালিকরা। জমির মালিক ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেছেন। সড়ক জনপথ বলছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে ৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিয়ে দেবে। জমির মালিকরা তাদের পাওনা পেয়ে যাবেন।

জানা গেছে, শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা-নাওডোবা কাঁঠালবাড়ি পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত ফোরলেন মহাসড়কে চলতি অর্থবছরে ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ ও প্রেমতলা কীর্তিনাশা নদীর ওপর সেতু এবং জাজিরায় কাজিরহাট সেতুর নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজিরহাট সেতু ও প্রেমতলা সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রেমতলা সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। জমির অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ঘর সরিয়ে নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জমির মালিকার। প্রেমতলা সেতু জনগণের সহায়তায় মূল সেতুর কাজ চলমান থাকলেও জাজিরা কাজিরহাট সেতুর জমি অধিগ্রহণ না থাকায় কাজ শুরু করতেই দিচ্ছে না জমির মালিকরা। এদিকে মূল সড়কে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের নিকট ১নং প্যাকেজটি গত ২ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১০৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত রমজান মাসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগের কাছে ২২টি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এ সড়কে জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ খাতে ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহন বাবদ ৪০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানান। এখনো জমির মালিকদের ক্ষতি পূরনের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এখনো বেশীর ভাগ জমির ৪ ধারা, ৬ ধারা, ৭ ধারা, ৮ ধারা বাকি। এসব কাজ শেষ হলেই কেবল চুড়ান্ত হবে অধিগ্রহণের কাজ। তারপরে টাকা পরিশোধের বিষয়।

কাজিরহাট দক্ষিণ দুবলদিয়া কাজি কান্দি গ্রামের জমির মালিক জসিম উদ্দিন আকন বলেন, আমার এক একর ৮০ শতাংশ জমি থেকে ৩০ শতাংশ সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করেছে। আমাকে ক্ষতি পূরণের কোনো টাকা পরিশোধ না করেই সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমি ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগকে বার বার বাধা দিলে ও তারা বাধা উপেক্ষা করে কাজ করছে। বাধ্য হয়ে গত ১১ নভেম্বর আমি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছি। এরপরেও তারা কাজ করছে। আমি জমি দিতে রাজি আছি। কিন্তু টাকা না পেয়ে কাজ করতে দেব না।

এ ব্যাপারে মেসার্স জামিল ইকবাল জয়েন্ট বেঞ্চার হাসান টেকনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাসান আলী বলেন, আমরা কার্যাদেশ পেয়ে সেতুর কাজ শুরু করেছি। সেতুর দুপাশের অ্যাপ্রোচের জমি অধিগ্রহণের পাওনা পরিশোধ না থাকায় জমির মালিকরা বাধা দিচ্ছে। এতে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদোয়ানুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু টাকা জমা দিয়েছি। দুটি সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। জমির ক্ষতি পূরনের টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিশোধ করবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই জমির মালিকদের ক্ষতি পূরণের টাকা পরিশোধ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads