• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
রাষ্ট্রপতির সংলাপ সমাধান দেবে কি 

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

রাষ্ট্রপতির সংলাপ সমাধান দেবে কি 

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চলমান সংলাপের সাফল্য প্রত্যাশা করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। ২৩ ডিসেম্বরের দৈনিকসমূহে তাদের সে বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে উচ্ছ্বাস পকাশ করে বলেছেন, ‘তবে মুদ্রার অন্য পিঠ অর্থাৎ নির্বাচন, জবাবদিহিতা, আইনের সমপ্রয়োগ, বাকস্বাধীনতা, সভা-সমিতির অধিকার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতন এবং আনুষঙ্গিক অনেক মাপকাঠিতে আমরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছি। বিবৃতিতে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আজকের ক্ষীণ গণতন্ত্রের বাংলাদেশে এখন আবার নতুন করে গণতন্ত্র চর্চা, আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, জবাবদিহিতা, আইনের সম ও ন্যায্য প্রয়োগ এবং আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বময় ও বন্টন ব্যবস্থাকে সাম্যমূলক করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ঐকমত্যের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করবেন। তারা এই বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে, আমরা এও আশা করি, এই আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের ব্যাপারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি খসড়া প্রস্তাবনা প্রণীত হবে। এই প্রস্তাবনায় বর্তমানে দেশ পরিচালনায় দাযিত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের রূপকল্পও স্থান পাবে। বিশিষ্ট নাগরিকরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ থেকে ১৯৯০ সালের ‘তিন জোটের রূপরেখা’র আদলে একটি ঐকমত্য সৃষ্টি হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

বিশিষ্ট নাগরিকদের এই প্রত্যাশা ইতোমধ্যেই সচেতন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই প্রত্যাশাকে দুরাশা বলে মনে করছেন।  কেননা তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপ থেকে নব্বইয়ের তিন জোটের রূপরেখার বাস্তবায়নের আশা করলেও তা যে সুদূর পরাহত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নব্বইয়ের গণঅন্দোলনের সময়, যখন এদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে অবাধ ও স্থায়ী রূপ দিতে বদ্ধপরিকর ছিল, তখন প্রণীত হয়েছিল তিন জোটের রূপরেখা। ওই রূপরেখার ভিত্তিতেই স্বৈরশাসকের বিদায় এবং গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরবর্তী সময়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট সে রূপরেখাকে স্মরণে রাখনি। যে দল যখন ক্ষমতায় গেছে বা থেকেছে, তারাই নবব্বইয়ের রূপরেখাকে বিস্মৃত হয়ে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। ওই রূপরেখাকে ভাগাড়ে নিক্ষেপ করে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে ব্যাপৃত হয়েছে। আর এর ফলে আমাদের রাজনীতিতে সমঝোতা ও সহাবস্থানের বিষয়টিও দূর আকাশের তারা মিটমিট করেই জ্বলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একটি বিষয়ে একমত যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি নব্বইয়ের রূপরখার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতেন, দলীয় সংকীর্ণতায় আচ্ছন্ন না হতেন, তাহলে এদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতো। যে রূপরেখা স্বৈরশাসকের হাত থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিল, সে রূপরেখার এমন অবমূল্যায়ন আমাদের রাজনীতির দেহে এক অমোচনীয় ক্ষতচিহ্ন হয়েই রয়েছে। তাই বিশিষ্ট নাগরিকগণ রাষ্ট্রপতির সংলাপ থেকে তিন জোটের রূপরেখার প্রস্তাবানা আশা করলেও তা যে এ মুহূর্তে অকল্পনীয়, তা বলাই বাহুল্য।

আমার মতে তিন জোটের রূপরেখা নয়, এ মুহূর্তে আলোচ্য বিষয় হলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে এই সংলাপ কতটা ফলপ্রসূ হবে। কেননা, এর আগেও রাষ্ট্রপতি এ ধরনের সংলাপ করেছেন, সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কিন্তু তাতে বিতর্কের অবসান হয়নি। বিশেষত যে কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে, অর্থাৎ কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। অনেকেই বলে থাকেন বাংলাদেশের এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, বর্তমান কমিশন সবচেয়ে ব্যর্থ। এরা জনগণের কাছে তাদেরকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি। না কাজকর্মে, না কথাবার্তা্য়। কখনো কখনো প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার বক্তব্য-মন্তব্যের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্যের ফারাক খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে হুদা কমিশনকে যে সরকারের তল্পিবাহক কমিশন বলে সমালোচনা করা হয় থাকে, তার সত্যতা সিইসি ও অন্য দুয়েকজন কমিশনার নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। অথচ এই নির্বাচন কমিশনও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ, নাম প্রস্তাব, সার্চ কমিটি গঠন ইত্যাদি বাগাড়ম্বর শেষে গঠিত হয়েছেল। অনেকেই মনে করেন, রাষ্ট্রপতি যা-ই করুন না কেন, তিনি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার বাইরে যেতে পারবেন না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই তার এই সীমাবদ্ধতা। কেননা, আমাদের সংবিধানে পরিষ্কার করেই বলা আছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্যসব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মতে করবেন। সুতরাং এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, রাষ্ট্রপতি যত সংলাপই করুন, দলগুলো যে ধরনের প্রস্তাবই দিক না কেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলবেন, অর্থাৎ পরামর্শ দেবেন, রাষ্ট্রপতি সে মতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। আর সেজন্যই কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপকে লোকদেখানো বলেও অভিহিত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ যদি শুধু নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য হয়, তবে অর্থহীন সংলাপ হবে। সংলাপ থেকে ফলপ্রসূ কোনো সমাধান আসবে বলে মনে হয় না। তিনি সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন রাষ্ট্রপতিকে তাই শুনতে হবে। এ সংলাপ শুধু ফটোসেশন আর আপ্যায়ন ছড়া কিছু হবে না। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১)। অন্যদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করেছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীঘদিন ধরে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হলেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যদিও শুধু সংলাপ করে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন পদ্ধতিতে এর আগে ইতিবাচক ফল আসেনি। তিনি বলেন, নতুন ইসি গঠনে রাষ্টপতির সংলাপ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো তাগিদ বা উচ্ছ্বাস নেই। ইসি গঠনে সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিদের হাতে অর্পিত হতে হয়, যারা নির্দলীয়, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচনে  নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সৎ সাহসের অধিকারী হবেন। (সূত্র : দৈনিক পত্রিকাসমূহ, ২১ ডিসেম্বর ২০২১)।

অপরদিকে ইসি গঠন এবং এ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতি দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ রয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণের কথা অগেই জানিয়েছে। তবে বিএনপি এক্ষেত্রে নিজেদের কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে। তারা শুরুইে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে অর্থহীন, প্রহসন, তামাশা ইত্যাদি বলে প্রত্যাখ্যান করলেও গত ২১ ডিসেম্বর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের চিঠি পেলে যোগ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তারা এখন পর্যন্ত সে ধরনের চিঠি পাননি। চিঠি পেলে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুতরাং এই সংলাপে বিএনপির অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখনো শেষ কথা বলার সময় অসেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এ বিষয়ে কিছু বলার বা করার কোনো এখতিয়ারও বিএনপি মহাসচিবের নেই। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যা-ই আলোচনা হোক না কেন, লন্ডন থেকে যে বার্তা দেওয়া হবে, সংবাদ ব্রিফিংয়ে মির্জা আলমগীর তা-ই বলে দেবেন। তবে, নির্বাচন বা দেশের রাজনীতির অন্যতম স্টেকহোল্ডার হিসেবে নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির মতামত বা ভূমিকার একটি গুরুত্ব অবশ্যই আছে। আজ বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে আইন প্রণয়নের কথা বললেও তারা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারাও কিন্তু সে কাজটি করেনি বা করার উদ্যোগও নয়নি। তারাও নিজেদের ইচ্ছেমাফিক নিজেদের  পছন্দের লোকদের দিয়ে নির্বাচন কশিন গঠন করেছে। রাজনৈতিক সচেতন মহল তাই বলে থাকেন, দেশে আজ যে রাজনৈতিক অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে, তার দায় বর্তমান ও অতীতের ক্ষমতায় থাকা দলগুলো এড়াতে পারে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি এবং জাসদ রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়েছে। জাতীয় পার্টি সরকারের এক সময়ের পার্টনার এবং বর্তমানেও তা অনুগত বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত। আর জাসদের যে অংশ সংলাপে অংশ নিয়েছে তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক। ফলে তাদের অভিমত যে সরকারের বিরক্তি উৎপাদনমূলক হবে না তা বলাই বাহুল্য। জাতীয় পার্টি সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দিলেও তারা রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটিতে সায় দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। তারা কমিশনের সদস্য হিসেবে পাঁচজনের একটি তালিকাও নাকি রাষ্ট্রপতির কাছ হস্তান্তর করেছে। দ্বিতীয় দিনের সংলাপে জাসদ বলেছে, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় যেন বিব্রত হতে না হয়, সেজন্য একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেছে। আইন প্রণয়ন প্রশ্নে সরকারি দলের অবস্থান নেতিবাচক এ কথা সর্বজনবিদিত। তারা রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটির ওপরই আস্থা রাখবে। যদিও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়ন করা হবে। তার এ কথাকে কেউ তেমন আমলে নিচ্ছে না এজন্য যে, তাতে বর্তমান সংকটের কোনো সমাধান হবে না।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান সম্প্রতি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র সুসংহত না হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।’ গত ২০ ডিসেম্বর সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেছেন। প্রবীণ এই বুদ্ধিজীবীর কথার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণের অধিকার তথা গণতন্ত্রকে দাঁড় করাতে হবে শক্ত ভিত্তির ওপর। আর গণতন্ত্রের সে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ানোর প্রধান পূর্বশর্ত জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সে অধিকার নিশ্চিত হতে পারে কেবল একটি আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন, শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম নির্বাচন কমিশন দ্বারা। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদর দিয়ে ইসি গঠিত হলে তা কখনোই জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।

অতীত অভিজ্ঞাতার আলোকে এটা বলা নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবে না যে, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন না করে রাষ্ট্রপতির সংলাপ বা সার্চ কমিটি কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। এভাবে কমিশন গঠিত হলে তা নিয়ে আগের মতো বিতর্ক চলতেই থাকবে।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads