• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
প্রশিক্ষণের নামে টাকা লোপাট!

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

প্রশিক্ষণের ভাতা হিসেবে দুই বছরে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা খরচ

প্রশিক্ষণের নামে টাকা লোপাট!

  • কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

কলারোয়া উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের দুই এনজিওর ২৩৪২ জন ভিজিডি ভাতাভোগী সদস্যদের প্রশিক্ষণের ভাতা হিসেবে দুই বছরে ৮৫০ টাকা হারে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব এনজিও কাগজে কলমে প্রশিক্ষণের নাম থাকলেও সরেজমিনে কোনো ভেন্যু বা কাউকে পাওয়া যায় না। এমনকি চুক্তিবদ্ধ অফিস মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তর জানে না প্রশিক্ষণের খবর।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ এনজিও প্রতিটি ভিজিডি ভাতা ভোগীকে ভাতা পাওয়াকালে ১৩ দিন সচেতনা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সাতদিন রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি এনজিও অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল; কিন্তু ২০২০ সালে একদিনও কোনো ইউনিয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কলারোয়া উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২৩৪২ জনের ভিজিডি প্রশিক্ষণের নামের তালিকাভূক্ত হয়েছে সাতক্ষীরার ক্রিসেন্ট নামে একটি এনজিও। তারাও চলতি বছরে এক দিনও কোনো প্রশিক্ষণ প্রদান করেননি। ক্রিসেন্ট নামক এনজিও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে প্রশিক্ষণ সিডিউল জমা দিয়েছে, সে মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে সেই ভেন্যুতে কোনো ভাতাভোগী প্রশিক্ষণার্থীকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনো ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গত দুই বছর এই প্রশিক্ষণের বিষয় জানেন না, কোনো এনজিও ভাতাভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন পরিষদের পরিচালক আ. সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলার সময় নাই বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ২০২১-২২ অর্থ বছরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিসেন্টের পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকের কাছে মুঠোফোনে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য আমার কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে, যদি প্রশিক্ষণ কোথাও না দেয়, তাহলে এখন থেকে সে বিষয়গুলো তদারকি করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বলেন, গত বছর প্রশিক্ষণ হয়েছি কি না, আমার জানা নাই। তবে এ বছর ক্রিসেন্ট নামক একটি এনজিও প্রশিক্ষণ সিডিউল জমা দিয়ে গেছে। এই বলে অফিসের সিডিউল দেখে ওই দিনের প্রশিক্ষণ ভেন্যুগুলোতে ফোন দিয়ে দেখেন সেখানে কোনো প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। তবে ওদেরকে প্রশিক্ষণের বিষয়ে বলা হবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা উপ-পরিচালক এ কে এম শফিউল আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনজিওগুলো আমাদের মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ না হওয়ার কারণেন আমাদের কাছে জবাবদিহিতাও করতে চাই না। তা ছাড়া আমাদের তদারকি করার মত কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায়, আমরাও সেভাবে তদারকি করতে পারি না।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে আমি অবগত নই। সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জানার জন্য আমার দপ্তরে আসতে বলেছি। যদি তারা প্রশিক্ষণ না দিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads