• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত আরও ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

  • আল-আমিন তালুকদার, ঝালকাঠি
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠিতে যাত্রিবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ দুর্ঘটনার পঞ্চমদিনে উদ্ধার অভিযানে সুগন্ধা ও ষিখালী নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা। উদ্ধারকৃত একটি মরদেহের আনুমানিক বয়স হবে ৩২ অপরটির বয়স ১৩ বছর। একটি মরদেহের শরীরে আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মরদেহ দু’টির কোনো স্বজন ঝালকাঠিতে এসে পৌঁছায়নি।

এছাড়া গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি নারায়নগঞ্জ জেলার শফিউদ্দিনের পুত্র শাকিল আহম্মেদ (৩৫)। সে ওই লঞ্চটির ক্যান্টিনে বাবুর্চির কাজ করত।

এদিকে, যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গত রোববার রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২জনকে আসামি করা হয়েছে। লঞ্চ দুর্ঘটনায় এক নিহতের স্বজন মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্র্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে আরো এক যুবকের মরদেহ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।

তারা জানায়, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমন্ডলে আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। অপর দিকে সুগন্ধা নদীর চরবাটারাকান্দা এলাকায় দুপুরে ভেসে এক কিশোরেরর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে আজ মঙ্গলবার ২ জনেরসহ দুই দিনে নদী থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।

অপরদিকে সোমবার উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই ব্যক্তি অভিযান লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি ছিলেন। তার নাম শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্চের ফতুল্লার বাসিন্দা ছিলেন। তার মামা লুৎফর রহমান লাশ শনাক্ত করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌরমিনি পার্ক ডিএনএ টেস্টের জন্য এলাকায় স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে আসা ৩ সদস্যের ফরেনসিক দল, বরিশালের ক্রাইমসিন এবং ঝালকাঠি সিআইডির সদস্যরা এ নমুনা সংগ্রহ করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়াদের খুঁজতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন স্থানে পঞ্চম দিনেও সন্ধান চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা। এ উদ্ধার অভিযান আরো কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads