• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

তালাককে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

  • গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০২২

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিবাহের তালাককে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের পূর্ব চর কপালবেড়া গ্রামে। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ও চর ফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের পূর্ব চর কপাল বেড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের মেয়ে মোসাঃ লাবনী বেগম সাথে ৭/৮ মাস আগে একই এলাকার মোটরসাইকেল চালক সোহরাব মৃধার ছেলে সোহেল মৃধা (২২) এর বিবাহ হয়। বিবাহের পরপরই লাবনী নানা বাড়ী চর কলমী চলে যায় এবং সোহেলকে গোপনে তালাক দেয়। লাবনী বাড়ি এলে শনিবার বিকেলে সোহেল লোকজন নিয়ে লাবনীর চাচার কাছে গোপনে তালক দেওয়ার ব্যাপারে জানাতে চায়। তালাক সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় মেয়ের চাচা কামাল হাওলাদার ও বশারের নেতৃত্বে ১৫/২০জন দেশী অস্ত্র নিয়ে সোহরাব মৃধা (৫০), সবুজ মাতুব্বর(৩৫), বাচ্চু মাতুব্বর(৪৫), সোহেল মৃধা (২২) হামলা করে। এসময় কামাল হাওলাদার(৪৫), সুরমা বেগম(২৫), ইয়ানুর বেগম(৪০), সাহিনুর বেগম(৫০)সহ ১০জন আহত হয়।

আহত সোহরাব মৃধা জানায়, আমার ছেলেকে তালাক দেবার পরে আমি মেয়ের চাচার কাছে তালাকের বিষয় জনতে চাইলে আমার চোখে মরিচের গুড়ি দিয়ে আমাকেসহ ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

লাবনী চাচা কামাল হাওলাদার জানায়, আমাদের ভুল বুঝিয়ে ৭/৮ মাস আগে মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। লাবনী নানা বাড়ি গিয়ে ১মাস আগে সোহেলকে তালাক দিলে, সোহেল ও তাদের লোকজন আমাকে মারধর করে।

গলাচিপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads