জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ অন্তত ৭ জন পুলিশ আহত হন।
আজ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় আতশবাজি করে।
শুক্রবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় পুলিশ রফিক গ্রুপে এক জন নেতা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মশিউর রহমান মুর্শেদ ও বিদুৎ নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশ।
মশিউর রহমান মুর্শেদ দুইটি মামলার আসামি। মহড়া থেকে আসামি গ্রেপ্তার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তদন্তকেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে উপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ অন্তত ৭ জন পুলিশ আহত হন। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান। আসামী ছিনিয়ে নিতে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় আওয়মী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ মিছিল বের করেন ডা. মুরাদ হাসান এমপির কর্মীসমর্থকরা।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, একাধিক মামলার আসামী মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মোর্শেদকে আটকা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
