• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
বিপুল উৎসাহে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বিপুল উৎসাহে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

  • মোঃ রফিকুল্লাহ চৌধুরী মানিক, হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০২২

দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলেও এবার কৃষক আমনের ভালো  দাম পেয়েছে। সে কারণে ময়মনসিংহের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষরা।

জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

গত মৌসুমের আমন ধানের ভালো ফলন প্রতি একরে প্রায় ৬০ মণ ও মূল্য প্রতিমণ ৯শ থেকে ১০০০ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে।

এদিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন।

কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ আবার চারা রোপন রেখে খেতের আইলে বসে দুপুরে খাবার খেয়ে নিচ্ছেন।কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন খেত।

হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ২২ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ২২ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১৪ হাজার  হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৮ হাজার ৫৩৫ হেক্টর।

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার। উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম একদিকে চেয়ারম্যান হলেও অন্যদিকে চলাফেরা সাধারনের মত, একজন ভালো কৃষকেও তিনি, অফিস শেষ করে ছুটে যান তার নিজ কৃষি জমিতে, চাষি হিসাবেও পরিচিত তিনি,তার কাছে জিজ্ঞাস করলে বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়নি আমাদের। এবার আমন চাষে করে আমরা লাভবান হয়েছি। সেই আশায় পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু করে দিয়েছি।

একই এলাকার ভাষাবন্দ গ্রামের এমদাদুল হক  জানান, গত বোর মৌসুমে উচ্চ ফলনসীল ব্রি-২৮, ২৯, ৮৮, ৮৪, ৫৮, ৯৬, ৯২  হাইব্রিড,জাতের ধানের ফলন ও বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে তারা বেশি আগ্রহী।

অন্যান্য বছর কোল্ড ইনজুরিতে পচন লেগে বীজ চারা নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভালো হয়েছে।

হালুয়াঘাটের  বিলডোরা  এলাকার বাসিন্দা নয়ন চৌধুরী  জানান, বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চার দিন পরপর সেচ দিতে হয়। আশা রাখি বোরো আবাদ হলে বেশি লাভবান হবো।

উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নর জাকিরুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় এবছর আরো দুই একর জমি বেশি আবাদ করেছি।

হালুয়াঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, উপজেলায় সবেমাত্র বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার গড় সর্বনিম্ন ১৫ এবং সর্বোচ্চ ২৫ বিরাজ করছে।

এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবং গভীর নলকূপগুলো সচল হলে খুব শিগগিরই বোরো ধান রোপণ শেষ হবে এবং আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি আরো বলেন কেউ যাতে  সিন্ডিকেট করে স্যারের দাম বাড়াতে না পারে সে দিকে আমি ও আমার সকল অফিসার ও উপজেলা প্রশাসন নজর রাখছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads