• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সকালে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে। সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু হয় স্বামীর। পরিবারের দাবি, তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি রুমে একা রাখা হলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। গত শুক্রবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া গ্রাম থেকে স্ত্রী ছবিতা রানীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হিরন বর্মণ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

হিমাংশুর বড়ভাই সুধীর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার সুস্থ্য ভাইকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। থানা হেফাজতে কীভাবে মারা গেল আমার ভাই। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তিনি বিচার দাবি করেন। আর ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে নানা সমালোচনার ঝড়।

এদিকে শুক্রবার রাতেই লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখার দেওয়া এক প্রেস রিলিসের মাধ্যমে জানানো হয়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদা পাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন রায়ের কন্যা সাবিত্রী রানীর (৩০) লাশ স্বামী হিমাংশু চন্দ্র রায়ের বাড়ির তুলসী গাছের সামনে পাওয়া যায়। সাবিত্রী রানী অজ্ঞাত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে, হাতীবান্ধা থানার ওসি ঘটনাস্থল থেকে সাবিত্রীর স্বামী হিমাংশু চন্দ্র বর্মণ (৩৫), মেয়ে প্রিয়াঙ্কা বর্মণ (১৩) এবং ভিকটিমের ভাই শ্রী খগেন রায় গণের কাছ থেকে এজাহার গ্রহণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের কক্ষের ভেতর রেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অফিসারগণ খাবার গ্রহণ করার জন্য গেলে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট থেকে ৩টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে হিমাংশু নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের ভেতর থাকা ব্রডব্যান্ডের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রেয়েছে বলেও ওই প্রেস রিলিসে উল্লেখ করা হয়।

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানার নারী ও শিশু নির্যাতন হেল্প কক্ষে একা রাখা হয়। ওই রুমে হিমাংশু রায় ওয়াইফাই (ইন্টারনেট) সংযোগের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে টের পেয়ে পুলিশ তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads