• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই, প্রশাসন নীরব

  • কে এম আনিছুর রহমান, সাতক্ষীরা
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি ২০২২

করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে বিধিনিষেধ শুরু হলেও সাতক্ষীরায় স্বাস্থবিধি মানছেন না অনেকেই। মাস্ক ছাড়া অফিস, আদালত, বাজার, পরিবহনে চলাফেরা করছেন তারা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার মতো অনেক স্বাস্থ্যবিধি মানারই কোনো বালাই নেই স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে।

আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারী) সকালে সাতক্ষীরা শহরে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাদের মুখে নেই মাস্ক, কারো কারো আবার মাস্ক থাকলেও সেগুলো রয়েছে থুতনির নীচে। আবার কেউ কেউ পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। আবার অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও রেখেছেন হাতে। অর্থাৎ মুখে পরার কথা থাকলেও মাস্ক তাদের মুখে নেই।

সোমবার বেলা ১২ টার দিকে জেলার কলারোয়া উপজেলার সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে দেখা গেছে, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, বাস, ভ্যানে যাত্রিতে ঠাসাঠাসি। সামনে চালকসহ অনেক যাত্রি কিন্তু কারোও মুখে কোনো মাস্ক নেই।

কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামারালী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুর ওহাব বলেন, আমাদের কাছে যারা প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিতে আসছে আমরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতন করছি। বিশেষকরে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা না থাকার কারণেই অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয়রা বিনা কারণে রাত ৮ টার পরে বাইরে বা স্থানীয় বাজারে ঘোরাঘুরি করছেন। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনার বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে বলেও তিনি জানান।

সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন বলেন, আমরা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে মাইকিং করছি। এছাড়া রাস্তাঘাট, মোড়, মসজিদ ও মন্দিরে মানুষকে ওমিক্রন সম্পর্কে বলে সচেতন করার চেষ্টা করছি।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ সরকারী বিধিনিষেধ না মানায় ওমিক্রন আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। নিজেদের সচেতন ছাড়া এ ভাইরাস থেকে বাঁচা কঠিন হয়ে পড়বে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রসাসক হুমায়ন কবির বলেন, সকলের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। বাজারঘাটে মানুষ সামাজিক দুরত্ব মানছে না। ইতোমধ্যে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাইকিং করে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারাসহ উপজেলা প্রশাসন ও আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে মাস্কছাড়া জেলা উপজেলার কোন দপ্তরে সেবা না দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ কেউ বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করব বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলাসদরসহ কয়েকটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান বসিয়ে সামাজিক দুরত্ব না মানা এবং মাস্ক না পরার অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads