• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সাভারে আবাসিক গ্যাস সংকটে অতিষ্ট এলাকাবাসী

  • আশুলিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০২২

সাভার উপজেলার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। সাভার ও আশুলিয়ায় এলাকার অনেক স্থানে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকছে না। ভোর রাতে ঘন্টাখানেক কিছুটা পাওয়া গেলেও তার পরিমাণ থাকে খুবই অল্প।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের সংকট। এতে করে অনেকেই রান্না করতে পারছে না। বিশেষ করে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে পোশাক শ্রমিকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর ফিরে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হচ্ছে।

অন্যদিকে, গত দুই বছর ধরে সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় গ্যাস-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে রান্না করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে হাজারো মানুষ। নিরুপায় হয়ে অনেকেই এলপি গ্যাস, বৈদ্যুতিক চুলা ও মাটির তৈরি চুলা দিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছেন।
গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ হবে একথা কথা শুনে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী।

আশুলিয়ার হক মার্কেটের পোশাক শ্রমিক রহিমা জানান, বাসা-বাড়িতে সারা দিনে দুই ঘণ্টাও ঠিকমতো গ্যাস পাওয়া যায় না। আর গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে যে সামান্য পানিও গরম করা যায় না। অথচ আমাদের নিয়মিত গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে তিতাসের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের এ ব্যাপারে মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে। সাভারের বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানায় অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। তাই বাসাবাড়ি ও আবাসিক এলাকায় এমন তীব্র গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গ্যাসের এ সংকট নিরসনে অনতি বিলম্বে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সায়েম জানান, গ্যাস সরবরাহ কম হওয়ায় আবাসিক এলাকাগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস বিতরণ করা যাচ্ছে না। আগামী ১মাস এই অবস্থা থাকবে,আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যে পার্থক্য এর জন্যই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। আমরা যে পরিমাণ গ্যাস পাই তা মোটামুটি সমানভাবে সরবরাহের চেষ্টা করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads