• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
বাড়ছে সরিষার আবাদ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

স্বল্প খরচে অধিক ফলন

বাড়ছে সরিষার আবাদ

  • নাটোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২২

নাটোরে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ। স্বল্প খরচ ও শ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এ রবিশস্যের দাম ও রয়েছে বেশ। আর ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে সরিষা চাষ করছেন অনেকে। তাছাড়া সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি তাদের জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, নলডাঙ্গ ও নাটোর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ। সরিষার হলুদ রঙের ফুলে ভরে আছে সরিষা ক্ষেত। মৌমাছি আর প্রজাপতির আনা-গোনায় সরিষা মাঠগুলো হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৫শ ৩৫ হেক্টর। এবছর গতবারের চেয়ে এবার ৫৩% বেড়েছে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। গত মৌসুমে নাটোরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৫০ হেক্টর এবছর সরিষার চাষ হয়েছে সাত হাজার ৭শ ৪৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে টরি-৭ ও বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ বেশি।

গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুরের শ্রীপুর গ্রামের চাষি শরিফুল ইসলাম রেজো বলেন, রসুনের আবাদ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই সরিষার ভালো দাম থাকায় রসুনের লোকসান পুষিয়ে নিতে ২৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করছি। প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে বিঘাতে ছয় থেকে সাত মণ সরিষা হয়। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় দুই হাজার ৫শ থেকে তিন হাজার টাকা দরে।

নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক জানান, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads