• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

ময়মনসিংহে ভুমিহীনের নামে বন্দোবস্ত জমি প্রভাবশালীর দখলে!

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ময়মনসিংহের শহরতলী শম্ভুগঞ্জ নেত্রকোনা-হালুয়াঘাট বাইপাস মোড় এলাকার বাসিন্দা হতদরিদ্র ভূমিহীন হাসমত আলীকে ১৯৭৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ১৩ শতক জমি বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন সরকার। ওই জমিতে চাষাবাদ করে চলছিলো হাসমত আলীর সংসার। কিন্তু হঠাৎ ওই জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রকৌশলী মজিবুরের। ২০১৩ সালে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন হাসমত আলী। সেই সুযোগে হাসমত আলীর নামে বন্দোবস্তকৃত ১৯শতক জমি দখল করে নেয় প্রকৌশলী মজিবুর রহমান। তবে সম্প্রতি ব্যাংক হতে পিতার নামে ৫ হাজার টাকার গ্রহণকৃত ঋন সংক্রান্ত একটি নোটিশ মারফত হাসমত আলীর পুত্র খোকন মিয়া আরও নিশ্চিত হয়েছেন ওই জমির বৈধ মালিক তাঁর পিতা হাসমত আলী।

এদিকে পিতার সেই ফসলি জমির উপর প্রভাবশালীরা দালান নির্মাণ করেছে। গুঞ্জন রয়েছে, ইতিমধ্যে স্থানীয় জবর দখলকারীরা কতিপয় ব্যক্তির কাছে বিক্রিও করে দিয়েছেন সেই সম্পত্তি। অথচ ২০২১ সাল পর্যন্ত এই জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ হয়েছে হাসমত আলীর নামে।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চরনিলক্ষিয়া ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকতা মো: রুবেল হাসান।

তিনি জানান, ভূমি বন্দোবস্তের দলিল অনুযায়ী সদর উপজেলার চর রঘুরামপুর মৌজার ১৫২২ খতিয়ানে ৯৭২ ও ৯৭৯ দাগে ১৩ শতক জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ বি.আর.এস রেকর্ড মালিক হাসমত আলী। কিন্তু সরকারের বন্দোবস্তের এই জমিটি জবরদখল বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই ভূমি কর্মকর্তা।

ভূমিহীন হাসমত আলীর পুত্র খোকন মিয়া বলেন, ২০১২ সালের দিকে প্রকৌশলী মজিবুর রহমানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী আমার পিতার সম্পত্তি জবরদখল করে আধা পাকা দালান ঘর নির্মান করে গোপনে কয়েক জনের কাছে বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। অথচ এই জমির বৈধ মালিক আমার পিতা। 

বর্তমানে এই জমির মধ্যে দেড় শতক জমি দখলদার মো: টিপু হাসান বলেন, কাগজপত্রে এই সম্পত্তির বৈধ মালিক ভূমিহীন হাসমত আলী। তবে তিনি মৃত্যুর পূর্বে জমিটি প্রকৌশলী মো: মজিবুর রহমানের নিকট বিক্রি করেন। পরে আমি দেড় শতক জমির তার কাছ থেকে ক্রয় করেছি।

তবে জমি ক্রয়ের দলিল বিষয়ে জানতে চাইলে দখলদার ব্যবসায়ী মো: টিপু হাসান দলিল দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও প্রকৌশলী মো: মজিবুর রহমানকে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads