• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ফুলবাড়ীতে ১ শতাংশ ধানও সংগ্রহ হয়নি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ফুলবাড়ীতে ১ শতাংশ ধানও সংগ্রহ হয়নি

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

পরিবহণ খরচসহ গুণগত মান যাচাইয়েল জটিলতার কারণে ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। এ কারণে ৭৯ দিনেও লক্ষ্যমাত্রার এক শতাংশ ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত এক হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র ছয় মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা গেছে। যার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার দশমিক ০৬ মেট্রিক টন। সরকারি মূল্য বাজারের মূল্যের প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আসছেন না।

সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্যগুদামে তিন হাজার ৯৪৪ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন চাল এবং এক হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার কথা। গত বছরের ২৪ নভেম্বর সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা এবং চাল ৪০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৮০ দিনে খাদ্যগুদামে তিনজন কৃষকের কাছ থেকে ছয় মেট্রিক টন ধান কিনতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। ফুলবাড়ী হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আমন ধান প্রতি কেজি ২৫ টাকা ২৫ পয়সা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার কৃষকেরা অ্যাপের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লটারির মাধ্যমে নিবন্ধিত কৃষকদের মধ্য থেকে ৬৫০ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়। মূলত এই ৬৫০ জন কৃষকই খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারবেন।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. নাসিম আল আকতার বলেন, এ পর্যন্ত গুদামে চাল সংগ্রহ করা গেছে তিন হাজার ৬৩২ দশমিক ৭৯০ মেট্রিক টন এবং মাত্র তিনজন কৃষকের কাছ থেকে দুই মেট্রিক টন করে ছয় মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা গেছে।

উপজেলার পৌর এলাকার আদর্শ কৃষক অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষেতের ধান শুকিয়ে নিয়ে গুদামে নিয়ে গেলেও বলা হয় মিটার পাস হয়নি। তখন ধান বাড়িতে ফেরত আনতে হয়। তাতে বাড়তি পরিবহন খরচ দিতে হয়। তার চেয়ে বাজারে নিয়ে বেচাই ভালো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ধানের সরকারি দাম বাজারের দামের প্রায় কাছাকাছি। এ কারণে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আসছেন না। এ কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তবে চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads