• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
বড় ভাইদের পিটুনিতে ছোট ভাই খুন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

রায়পুরায় মিটার নিয়ে দন্ধের জের

বড় ভাইদের পিটুনিতে ছোট ভাই খুন

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০২২

নরসিংদীর রায়পুরায় বড় ভাইদের পিটুনিতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। বড় দুই ভাইয়ের সাথে ছোট ভাইয়ের বৈদ্যুতিক মিটার নিয়ে দন্ধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শফিকুল ইসলাম (২৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ শফিকুল ইসলামকে বাড়ির কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে আপন সহোদর বড় ভাইরা।

সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের দড়ি হাইরমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল হাইরমারা ইউনিয়নের দড়ি হাইরমারা গ্রামের মৃত মোরশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি মনিপুরা বাজারে কুলি-মুজুরির কাজ করতো। অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন, মাসুম মিয়া ও মোতালেব মিয়া।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, জমিজমার নিয়ে ওই তিন ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই খারাপ ছিল। এদের মধ্যে নিহতের বড় ভাই মোতালিব টাকার বিনিময়ে মানুষের জমিতে মটরে পানি দেওয়ার কাজ করতো। পানির আর মটর চালানোর জন্য সে পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ লাইন ব্যবহার করে আসছিল। এর ওই মিটার থেকে মাসুম মিয়া ও নিহত শফিফুল বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো। কিছুদিন আগে মোতালিব পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের ভয়ে মিটারটি সরিয়ে অন্যত্র স্থাপন করেন। যার ফলে শফিকুল আর তার ঘরে বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারছিলো না। তাই নিহত শফিক ক্ষুব্দ হয়ে বড় ভাই মোতালিবের নামে পল্লী বিদ্যুত অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গতকাল লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে নিহত শরিফুলের উপর ক্ষোব্ধ হয় বড় ভাই মোতালিব ও মাসুম।

এরই মধ্যে শফিকুল রাতে বাড়ি আসলে তিন ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এই বাকবিতন্ডা কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতিতে রূপ নেয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে মাসুম ও মোতালেব লাঠি নিয়ে শফিকুলের ওপর চড়াও হন। তাকে ধরে এনে বাড়ির উঠানের কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে ফেলেন। পরে তাকে এলোপাথারী পিটাতে থাকে। এক সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হলে ওই দুই ভাই পালিয়ে যান। হত্যাকান্ডের সময় তাদের মা ওই বাড়িতে ছিলেন না, তিনি তাঁর বাপের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

আজ সকালে এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শতাধিক লোক ওই বাড়িটিতে জড়ো হয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে রায়পুরা থানা-পুলিশে খবর দেন। পরে রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

রায়পুরা থানার উপ-পরির্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, মূলত অবৈধ বিদ্যুতের লাইন ব্যবহারের মিটার নিয়ে দন্ধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঠিত হয়েছে। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads