• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

মুন্সীগঞ্জে ডাকাত বলে পুলিশের উপর হামলা, আহত ৭ পুলিশ

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০২২

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় কারেন্ট জাল ফ্যাক্টরিতে অভিযানের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ৬ কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, মো.খসরু, সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) জাকির হোসেন, পরিদর্শক(অপারেশন) মোজাম্মেল হক ও কনস্টেবল রায়হান হোসেন। এদের মধ্য নজরুল, ফরিদুজ্জামন ও রায়হানকে গুরুতর অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. শৈবাল বসাক বলেন, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এদের মধ্যে তিনজনকে উন্নতন চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে আমরা যে যার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ১১টার দিকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দেয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। ডাকাতের খবর শুনে স্থানীয় লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। পড়ে জানতে পারি ইমরান ও তার ভাই সম্রাটদের কারেন্ট জাল ফ্যাক্টরিতে  পুলিশ অভিযানে এসেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ তখন ভয়ে যারযার ঘরে চলে যায়। পরে ইমরান-সম্রাটদের লোকজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করে। শুনেছি পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকার নিরীহ কোন মানুষ জড়িত ছিল না । 

স্থানীয়রা আক্ষেপের সাথে বলেন, ইউপি সদস্য ইমরানই অন্য মানুষের মাধ্যমে মসজিদে মাইকিং করে ডাতাতের সংবাদ প্রচার করান। তারা আরো বলেন,এলাকায় কারেন্ট জালের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। তবে এখনো ইমরান মেম্বারদের মত প্রভাবশালীরা গোপনে কারেন্ট জালের উৎপাদন ও ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের কারনে আজকে অনেক নিরপরাধ, গরিব মানুষ পুলিশের কাছে বন্দি আছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) মো. রাজিব খান জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার দিবাগত রাতে মালিপাথর এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। সে সময় জানাযায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান ও তার ভাই সম্রাট অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরি করছে।ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায়। পুলিশ ওই ফ্যাক্টরির অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করতে অভিযান শুরু করে। এলাকায় ডাকাত ডুকেছে মসজিদের মাইকে প্রচার করে ইমরানরা। পরে ইউপি সদস্য ইমরান ও তার ভাই সম্রাটের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের ৭ জন আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে আমাদের জানালে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।  ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ঘটনার পর থেকে পলাতক  ইউপি সদস্য ইমরান।তার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads