• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

পাঁয়ে হেঁটে হিলি থেকে ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০২২

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার কবির হোসেন (২৫) নামের এক তরুণ পাঁয়ে হেঁটে হিলি স্থলবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। তার এই যাত্রা গাইবান্ধা, বালাসী ঘাট, ঐতিহাসিক বাহাদুরবাদ ঘাট হয়ে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হবে। এই পথে ক্রসকান্ট্রি হাইকিং এর দূরত্ব হিলি জিরোপয়েন্ট থেকে জামালপুর দেওয়ানগঞ্জের রামরামপুর বর্ডার। যাত্রা পথের প্রথম দিন তিনি হিলি জিরোপয়েন্ট থেকে পাঁয়ে হেঁটে ২১.৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হিলি-ঘোড়াঘাট রোডের ঐতিহাসিক সূরা মসজিদে গিয়ে পৌছান। পরবর্তী দিন ১৭.৪ কিলোমিটার পথ পাঁয়ে হেঁটে তিনি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট বাজার হয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরে পৌছান।

তিনি এই যাত্রা পথে আশে-পাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করছেন। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান, ধর্মীয় ও সামাজিক স্থাপনা এবং পরিবেশ-প্রকৃতি দর্শন করছেন। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে অবগত করছেন।

ক্রসকান্ট্রি হাইকিং হলো পাঁয়ে হেঁটে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া। বাংলাদেশের ক্রসকান্ট্রি রুটগুলো হলো বাংলাবান্দা (তেতুলিয়া)–শাহপরীর দ্বীপ (টেকনাফ), মুজিবনগর–আখাউড়া, জাফলং-ভোমরা, গোবড়াকুড়া(হালুয়াঘাট)-কুয়াকাটা, তামাবিল-ভোমরা। এই পথগুলোর বাইরে তিনি নতুন ও অপেক্ষাকৃত অল্প ‍দূরত্বের পথে ক্রসকান্ট্রি হাইকিং সম্পন্ন করতে চলেছেন।

তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাংলাদেশে ভূ-চিত্র ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এই রুটের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের  দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি এবং একই সঙ্গে এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় একটি স্থান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে হিলির যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানকার যুদ্ধে ব্যবহৃত সমর শিক্ষা বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সিলেবাসের অর্ন্তভূক্ত। একই সঙ্গে এই রুটে ঐতিহাসিক সূরা মসজিদ ও সুলতানী আমলে আগত কাকশাল ও পাঠানদের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত সমৃদ্ধ শালী জনপদ ঘোড়াশাল উপজেলা। ১৯৩৮ সালে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরির সার্ভিস চালু করা হয়। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে ধানুয়া কামালপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেড ফোর্সের প্রথম অপারেশন সম্পন্ন হয় এখানে। এই যুদ্ধে মেজর জিয়া (মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান) অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

বাংলাদেশের তরুণদেরকে তিনি মাদক ছেড়ে আলোর পথে আসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ভ্রমণ প্রিয়, ট্রেকার, হাইকার, সাইক্লিস্ট ও বাইকারদেরকে এই পথে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads