• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু পানি, ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামবাসী

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু পানি, ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামবাসী

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২২

মানিকঞ্জ পৌর এলাকার অন্যতম এলাকা মানিকঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে তেমন জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে না। তবে বাসস্ট্যান্ড থেকে জয়রা, উকুরিয়া, বাইচাইল.গড়পাড়া যাওয়ার বীর মুক্তিযোদ্বা নিজামউদ্দিন রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এ রাস্তার ১ থেকে আধা কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় হাটু পানি। ফলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টি হলে ওই রাস্তার কোথাও হাটু পানি কোথাও তার চেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বীর মুক্তিযোদ্বা নিজামউদ্দিন রাস্তায় ঢুকতেই শুরু হয় জলাবদ্ধতা। বাসষ্ট্যান্ড থেকে জয়রা, বাইচাইল, উকুরিয়া .গড়পাড়ার দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত জমে রয়েছে হাঁটু পানি। এ রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল না করলেও রিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট করে তিক্ত অভিঞ্জতা নিয়েই এ রাস্তায় নিত্য যাতায়াত ৫ গ্রামবাসীর।

ওই রাস্তার পাশের চা দোকানি জাহাঙ্গীর বলেন, বছরে বর্ষা হয় একবার। আর এ রাস্তায় বর্ষা থাকে বারো মাস। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। আর এই জলাবদ্ধতা থাকে এক সপ্তাহ।

রিক্সা চালক মোসলেম উদ্দিন বলেন, এই রাস্তায় প্রায় সারা বছরই পানি জমে থাকে। কোনো সময় আর শুকনো পেলাম না। এ রাস্তা দিয়ে রিক্সা চালানো বিপদ। কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কারণ পানির নিচে তো বুঝা যায় না কোন দিক ভালো আর কোন দিকে ভাঙা।

জয়রা গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক রুবেল বলেন, আমাদের গ্রামটা তুলনামূলক একটু নিচু। কার্পেটিং রাস্তা থাকলেও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়। এ কারণে যাতায়াতে একটু সমস্যাই হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা রাখছি। বর্তমানে আমাদের পৌরসভায় যে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে আমাদের এ রাস্তার ও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা হবে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১, ২, ৩ সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নাজমা আক্তার বলেন, এ রাস্তা পৌরসভার অধীনে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিডিএলজি স্যারকে বলে ছিলাম এলজিইডি বা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দিয়ে রাস্তাটির পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার জন্য। রাস্তাটি নিচু থাকার কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমে ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads