• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কলমাকান্দায় বেড়িবাঁধে ভাঙন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কলমাকান্দায় বেড়িবাঁধে ভাঙন

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ মে ২০২২

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পোগলা ইউনিয়নে রানীগাঁও বাজার-হিরাকান্দা মেইনরোড পর্যন্ত ফসল রক্ষা  জাইকা বেড়ি বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে গেছে।

গত রোববার দিবাগত রাতে দিকে জাইকার অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে  নির্মিত ওই বাঁধের গুমাই নদীর আমবাড়ি পাঠানপাড়া নামকস্থানে ভেঙে যায়।

এতে করে মানদাউড়া, চিটুয়া ও বেখুরীকান্দা শুনই বিলে মধ্যে ৪৮০ হেক্টরের মধ্যে কর্তন বাকি ১০ ভাগ জমির ধানগাছ শীষের নিচ পর্যন্ত ডুবে রয়েছে। বিলের মধ্যে খলায় (ধান শুকানো স্থান) পানি ডুবো ডুবো করায় ধান শুকানো নিয়ে বিপাকে কৃষক-কৃষাণীরা। কর্তনকৃত ধানের খড় (গা খাদ্য) বিলে ডুবে যাওয়ায় গবাদির পশুর খাদ্য সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত হবেন এমন শঙ্কা বিরাজ করছে। শ্রমিক সংকট থাকা সত্ত্বেও যেভাবে পারছেন ধান কাটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এমনটা জানায় কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকরা।

নাম না প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কৃষক সাংবাদিকদের জানান, সকালে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকতে দেখতে পান তিনি। তার ধারণা, বিগত দিনে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত বড় বড় গর্তগুলো বালুমাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে ও এর চাপে বালুমাটি সরে গিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বাঁধটি ভেঙে থাকতে পারে।

স্থানীয় ইউপি’র চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত দুদিন ধরে বাঁধের এক পাশ গুমাই নদীর পানি বাড়তে থাকে। গত রোববার দিবাগত রাতে  পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাঁধের প্রায় ১০০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে বিলে পানি প্রবেশ করতে থাকে। বাঁধটি অনেক আগে জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল। জাইকার অর্থায়নে প্রতিবছর বাঁধটি মেরামত করলেও বরাদ্দ না থাকায় এবছর বাঁধ সংস্কারে কোনো কাজ হয়নি। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলো বাঁশ ও বালু মাটি দিয়ে মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ সরেজমিনে ঘুরে সাংবাদিকদের জানান, ডুবে যাওয়া ৪৮০ হেক্টর জমির মধ্যে চারশো হেক্টরের জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। বাকি ১০ ভাগের মতো অকর্তনকৃত ধানগাছ শীষের নিচের অংশ পর্যন্ত ডুবে রয়েছে। তাছাড়া কৃষকেরা কর্তনকৃত ধান শুকানোর স্থান (খলা) নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। তারা কাটা ধানের খড় (গো খাদ্য) ডুবে যাওয়ায় গবাদির খাবার সংরক্ষণ করা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন ।

কলমাকান্দার এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, জাইকার অর্থায়নে সমিতির মাধ্যমে ১০ কি.মি. দীর্ঘ রানীগাঁও বাজার-হিরাকান্দা মেইনরোড পর্যন্ত বেড়িবাঁধটি গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সংস্কারে শেষ কাজ করা হয়েছিল। ওই প্রকল্পের আওতায় সমিতি বর্তমানে বিলুপ্ত রয়েছে। একথা জানাতে পারলেও নির্মানসন ও বরাদ্দসহ এ বাঁধের মেরামত বাবদ ব্যয়ের বিবরন নতুন যোগদানের জন্য জানাতে পারেননি তিনি।

এলজিইডি’র ওই উপজেলায় কর্মরত সাবেক উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাত-আট বছর আগে ফসলরক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সঠিক নির্মাণ ব্যয় এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads