বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ মেরে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। সেই চেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা ব্যর্থ করে দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে লালমনিরহাট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ' তৈরীর মধ্যদিয়ে সারাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের একত্রিত করে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস মোকাবেলা করা হয়েছে। 'মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ' এর দাবীর মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে। বিএনপি -জামাত দেশে ১হাজারটি গাড়ী পুড়িয়েছে, ৩হাজার গাড়ী ভাঙচুর করেছে। এতে শতাধিক ড্রাইভার আহত হয়েছে। কাউকে পুড়িয়ে মেরেছে, কাউকে পুড়িয়ে জিবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
যে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান ছাত্রদলের ছেলেদের সহযোগিতা করে তারা রাজাকারের সন্তান মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা মায়ের সামনে মেয়ের সভ্রম নিয়েছে, যারা নির্যাতিত মা বোনের চিৎকার শোনে অট্ট হাসি দিয়েছে, বিএনপি ওই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করেছিল। তাদের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ-এঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সুলতান আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন (অব:) আজিজুল হক বীর প্রতীক প্রমুখ। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, নতুন মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি না করা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনসহ সম্মানী বৃদ্ধির দাবি জানান।