• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
পল্লীবিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

পল্লীবিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

  • কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২২

কলারোয়ার পল্লীবিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের কপি পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধাারণ মানুষ। ঘরে বসে কলারোয়ার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের বিল প্রস্তুতকারীদের মনগড়া বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের কোনো প্রকার মিল নেই। মনগড়া বিল তৈরি করে সাধারণ গ্রাহকের কাঁধে বিলের বোঝা বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে দিশেহারা করে দিয়েছেন তারা।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, কলারোয়া পৌরসদরে অবস্থিত কবির ফর্মেসীতে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যুত ব্যবহারের বিল দিয়েছেন মিটার রিডিং ৬০০ থেকে ৬৫০ পর্যন্ত ৫০ ইউনিট। কিন্তু সরেজমিনে গত বুধবার গিয়ে দেখা গেছে, মিটার রিডিং ৬৩৫ পর্যন্ত ইউনিট। ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও ১৫ ইউনিট কম আছে। একইভাবে উপজেলার মেইন রোডে অবস্থিত হাবিবের দোকানেও বিল দিয়েছেন ১০৯৫ ইউনিট। কিন্তু সেখানেও ছিল ১০৭১ ইউনিট। একইভাবে মিল্টনের দোকানে বিল দেওয়া হয়েছে ৫৬১০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবহার হয়েছে ৫৬০১ ইউনিট পর্যন্ত। একইভাবে মোজাহিদ ও তুহিনা স্টোরের মিটারেও এভাবে ভূতড়ে বিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ব্যবহূত ইউনিট অসামঞ্জস্য হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। তখনি সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন ভুক্তভোগিরা। এমন একই অভিযোগ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাহকের।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, কলারোয়ায় এই নতুন ডিজিএম তুষার কান্তি যোগদানের পর থেকে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকদেরকে নানাভাবে জিম্মি করে রক্ত চুষে খাচ্ছে। কলারোয়ায় ৬০ হাজার গ্রাহক আছে প্রতি গ্রাহকের ৫০ ইউনিট করে বেশী বিদ্যুতের বিল নিলে কয়েক লক্ষ্য টাকা প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল আদায় করা যায়। তিনি বলেন, ইউনিট ব্যবহারে ১ থেকে ৭৫, ৭৫ থেকে ২০০ এমন বিভাজন থাকায় বিদ্যুতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করে থাকেন।

এ বিষয়ে কলারোয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম তুষার কান্তির কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুল হতে পারে, গ্রাহক অফিসে আসলে ঠিক করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads