• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
বরশিতে ধরা পড়ল ক্ষতিকর সাকার ফিস

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বরশিতে ধরা পড়ল ক্ষতিকর সাকার ফিস

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জুন ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বরশিতে ধরা পড়েছে সাকার ফিস । শনিবার দুপুরে পৌর শহরের খড়মপুর মৎস্য প্রজেক্ট থেকে মো. রাহুল খাদেম নামে এক যুবক বরশি দিয়ে ওই মাছটি ধরেন। সাকার ফিসটির ওজন প্রায় ৪০০ গ্রাম ।

রেশমা আক্তার কাকন বলেন, তার মামা মো. রাহুল খাদেমের মাছ ধরার শখ। তিনি বাড়ি সংলগ্ন একটি মৎস্য প্রজেক্টের মধ্যে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে যান। হঠাৎ করে তার বরশির মধ্যে ওই মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি শরীরে হলুদ ও কালো দাগ রয়েছে। এর আগে কখনো সাকার ফিস ধরা পড়েনি বলে জানায়।

মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাকার ফিস উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। এটি চিংড়ি, কালি বাউস, মাগুর ও শিং মাছসহ ছোট শামুক জাতীয় শক্ত খোলের প্রাণী খেয়ে সাবাড় করে ফেলে।

এ বিষয়ে একজন মৎস্য বিজ্ঞানী বলেন, ‘এই মাছটি ২০০১ বা ২০০২ সালের দিকে ইউরোপের এক কূটনীতিক মেয়াদ শেষে চলে যাওয়া আগে ঢাকার গুলশান লেকে ছেড়ে দেন। এরপর সেখান থেকেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এটি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতির সাকার ফিশ ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এটি পানি ছাড়াই প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে।’

মৎস্য আইন ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশে দেশীয় প্রজাতির মাছের ক্ষতি সাধন করে, এমন যেকোনো বিদেশি মাছ আমদানি ও চাষ দণ্ডনীয় অপরাধ।

অ্যাকুরিয়ামের শোভাবর্ধক এই সাকার ফিস উন্মুক্ত পরিবেশ পেয়ে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। দ্রুত বংশবিস্তার ও প্রচুর খাদ্য গ্রহণের কারণে জলাশয়ের মাছসহ অন্যান্য প্রাণী হুমকির মুখে পড়ছে। এরই মধ্যে এই সাকার ফিসের কারণে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি দেশের মৎস্য খাত। দ্রুত বংশ বিস্তারকারী এই সাকার ফিস কীভাবে জলাশয়গুলোতে ছড়াচ্ছে তার সঠিক তথ্য জানে না কেউ। আর দেশের মৎস্য খাতকে ধ্বংস করতে এটি দেশের প্রত্যন্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক কোনো চক্র জড়িত কিনা, এমন প্রশ্ন এখন অনেকের। সাকার ফিস এখন মাছ চাষিদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads