• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অস্তিত্ব সংকটে বড়াল

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

অস্তিত্ব সংকটে বড়াল

  • জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা)
  • প্রকাশিত ০৬ জুন ২০২২

চাটমোহরে বড়াল নদী এখন দূষণ আর দখলের কবলে পড়েছে। দখল-দূষণসহ নানা কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এক সময়ের প্রমত্ত নদ বড়াল। চলনবিল অঞ্চলের অন্যতম এই নদ রাজশাহীর চারঘাট পদ্মা থেকে উৎপত্তি হয়ে পাবনার হুরাসাগরে গিয়ে যমুনা নদীতে মিশেছে। ব্যাপক দূষণের কবলে পড়েছে বড়াল নদী। সেটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। চাটমোহর পুরাতন বাজারের মাছ ও মোরগির সকল বর্জ্যসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বড়ালে। দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকার পরিবেশ। দূর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে বড়াল পাড়ের মানুষের। একই সঙ্গে অবৈধ দখলদাররা যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্যে পরিচালনা করে আসছেন।

ধানসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করা হচ্ছে বড়াল নদে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা, প্রশাসনের উদাসীনতাসহ নানা কারণে একসময়ের খরস্রোতা বড়াল নদীর এমন করুণ পরিণতি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বড়াল নদের পাড় দখল করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। গৃহস্থালি বাড়ির বর্জ্যে দোকানপাটের উচ্ছিষ্ট পলিথিন ফেলা হচ্ছে বড়াল নদীতে।

চাটমোহর পৌরসভার মেয়র সাখাওয়াত হোসেন সাখো বড়াল নদী দূষণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, অনেক স্থানেই বড়ালের অস্তিত্ব নেই। চাটমোহরে যতটুকু আছে, তা দূষণ চলছে। বড়ালের অন্যান্য এলাকায় যে সকল দখল হয়েছে, তা উচ্ছেদ করা গেলেই বড়াল তার প্রাণ ফিরে যাবে।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, বড়ালের বিষয়টি নজরে এসেছে। নদী দখলকারীদের ব্যাপারে অতিসত্তর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূষণরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads