• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত‍্যা, তিনদিন পর  মরদেহ হস্তান্তর 

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ত্রিপুরায় বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত‍্যা, তিনদিন পর  মরদেহ হস্তান্তর 

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জুন ২০২২

ভারতের ত্রিপুরায় ডালিম মিয়া নামের এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার তিনদিন পর তার মরদেহ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তবে নিহত যুবকের স্বজনদের অভিযোগ, ডালিম মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার  দিনগত মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-ত্রিপুরার আগরতলা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ওই যুবকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত ডালিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।

ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবানন্দ রিয়াং ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে মরদেহটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং সাংবাদিকদের জানান, ১১ জুন সকালে ত্রিপুরা রাজ্যের একটি স্কুল থেকে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। তাদের মধ্যে ডালিমও ছিলেন। সেখানকার অধিবাসীরা তাদের ধাওয়া করে ডালিমকে ধরে ফেলের এবং ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামের অপর বাংলাদেশি যুবক পিটুনিতে গুরুতর আহত হন। অন্যরা পালিয়ে যান। পরে জহিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে টাকারজলা থানা পুলিশ।

তবে ডালিম মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার বাবা মোহন মিয়া। তিনি জানান, মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শিমুল বেশ কিছুদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। ১০ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলের ভাই জহিরুলসহ অন্যরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

মোহন আরও জানান, শিমুলের স্ত্রীর সঙ্গে ডালিমের পরকীয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আপস-মীমাংসা চেষ্টা করা হয়। তার অভিযোগ, পরকীয়ার জের ধরেই শিমুল ও তার লোকজন ডালিমকে হত্যা করেছেন।

কসবা উপজেলার ডালিম মিয়াসহ জহিরুল (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং হৃদয় মিয়াসহ (২৬) কয়েকজন বাংলাদেশি শুক্রবার রাতে কসবা সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান  বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ড ভারতে ঘটেছে তাই ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে এ বিষয়ে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় ভারতের স্থানীয় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads