কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের কারারক্ষী শেখ আল ইমরান (২৬) এর বিরুদ্ধে স্ত্রী শিখা নাজমিনকে (২০) যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকাল ৫ টার সময় কুষ্টিয়া চৌরহাস আদর্শপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্ত্রী শিখা নাজমিন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের আবুল খায়ের মেয়ে শিখা নাজমিনের সাথে একই জেলার ফিংড়ী গ্রামের শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে শেখ আল ইমরানের ২ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে শেখ আল ইমরান কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের কারারক্ষী হিসেবে চাকরীতে নিয়োজিত আছেন। চাকরী সুবাধে স্বামী - স্ত্রী কুষ্টিয়া চৌরহাস আদর্শপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর থেকেই ইমরান যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে ইমরান তার স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে ৮ লাখ টাকা যৌতুক আনতে বললে তার স্ত্রী অস্বীকার করলে তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকলে স্থানীয়রা ছুটে এসে শিখাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে শিখার পরিবার এসে তাকে অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আহত শিখা নাজমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এর আগেও আমাকে অনেকবার যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করেছে। প্রায় ৫-৬ বার বসে মিমাংসা করা হয়েছে। আমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি। আমি আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ আল ইমরানের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম জানান, অভিযোগ বা এজাহার এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।