দিন যত যাচ্ছে ততই এগিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে খামারিরা হাটে গরু উঠাতে শুরু করেছে জোর প্রস্তুতি। সারা দেশের ন্যায় সরিষাবাড়ী উপজেলার খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে। খামারীদের পাশাপাশি অনেকেই শখের বসে পারিবারিকভাবেই পালন করছেন অনেক গরু।
এবার কোরবানির হাটে নজর কাড়বে সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের ‘বাহাদুর’। অনেকটা শখের বসে পারিবারিক আদর যত্নে বেড়ে উঠা বিশালদেহী এই গরুটির ওজন প্রায় এক হাজার কেজি। গরুটির মালিক মো. সুরুজ মিয়া আট মাস ধরে লালন-পালন করছেন।
গরুটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দাম উঠেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
'বাহাদুর' এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। গরুটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সুরুজ মিয়ার বাড়িতে ভিড় করছে কেউ আবার মোবাইল ফোনেই হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে দেখে নিচ্ছেন।
দীর্ঘ আট মাসের মধ্যে একবারের জন্যও বাহাদুরকে ঘরের বাইরে বের করেননি সুরুজ মিয়া। শনিবার রাজধানী ঢাকার এক ক্রেতাকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাতে গ্রামের কয়েকজনে মানুষের সহযোগিতায় “বাহাদুরকে ” কে ঘর থেকে বের করেন তিনি।
সুরুজ মিয়া জানান, এ গরুটি প্রায় আট মাস পূর্বে এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা হয়। এবং তখন থেকেই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুষি, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও ধানের গুড়া মিলে দিনে দুইবার খাবার দেন।
তিনি আরো জানান, এ গরুটি লালন পালনে তার নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছেলে সম্রাট সব সময় সহযোগিতা করেছে।