• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কোটালীপাড়ায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কোটালীপাড়ায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জুন ২০২২

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৪০) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন। এ সময়ে ফরিদ শেখের স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) একাধিক ব্যক্তির সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয় নিয়ে তাদের প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ঘটনার রাতে ফরিদ শেখের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর রাতে ফরিদ শেখ মারা যায়।

ফরিদ শেখের পিতা ইয়ার আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে ফরিদ ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করতো। করোনার সময়ে সে স্থায়ী ভাবে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার ছেলের সাথে পুত্রবধু মুক্তা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বেগম বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতো। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছিল। আমার ধারণা মুক্তা বেগমই আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরোও বলেন, মুক্তা বেগমের অত্যাচারে আমরা ফরিদের বাড়িতে থাকতে পারতাম না। ফরিদের বাড়ির পাশেই আমরা বাড়ি করে সেখানে বসবাস করছি। ঘটনার রাতে ফরিদের চিৎকার শুনে এসে দেখি ফরিদের পাশে মুক্তা বেগম দাড়িয়ে আছে।

মুক্তা বেগমকে এলাকায় না পাওয়ার কারণে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ধোড়ার গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ওমর আলী বলেন, ফরিদ শেখ খুবই একজন ভালো মানুষ ছিল। তার সাথে আমাদের এলাকার কোন মানুষের কোনদিন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। কেন কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চাই পুলিশ ফরিদের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনুক।

কোটালীপাড়া থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, কে বা কারা ফরিদ শেখকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। আমরা ফরিদ শেখকে কে বা কোন কারণে হত্যা করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads