• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমপ্ল্যান্ট খুলছেন অফিস পিয়ন!

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমপ্ল্যান্ট খুলছেন অফিস পিয়ন!

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জুন ২০২২

মহিলাদের দীর্ঘ মেয়াদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো ইমপ্ল্যান্ট। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিনা খরচে মহিলাদের বাহুতে চামড়ার নিচে এটি স্থাপন করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার ওই জায়গায় এসে এটি খুলতে হয়। এর জন্য কোনো ফি দিতে হয় না। মূলত একজন নারী চিকিৎসক এ কাজটি করার কথা। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেন এর কোনো নিয়ম নেই। রয়েছে অনেকটাই ব্যতিক্রম। যার যে কাজ সেটি যেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বলে চলে। বর্তমানে এ কাজটি করছেন মো. আরমান মিয়া নামে একজন অফিস পিয়ন। চিকিৎসকের ইমপ্ল্যান্ট খোলার কাজটি তিনি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছেন। আরমান মূলত পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পিয়ন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ভবনের দু’তলার একটি কক্ষের সামনে ৭/৮ জন নারী দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরে একজন পুরুষ একজন নারীর ইমপ্ল্যান্ট খোলার কাজ করছেন। আরেক নারী কর্মীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তার নাম বলেন আরমান মিয়া, তিনি অফিস পিয়ন।

অফিস পিয়ন হয়ে ইমপ্ল্যান্ট খুলছেন কেন জানতে চাইলে তিনি ইমপ্ল্যান্ট খোলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কক্ষ প্রস্তুত করছিলেন বলে জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন নারী বলেন, আরমান মিয়াই নিজেই ইমপ্ল্যান্ট খুলছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৭/৮ জনের ইমপ্ল্যান্ট খুলেছেন।

আরেক নারী বলেন, তিন ঘন্টা হয়েছে আমি এখানে এসেছি। তখন থেকে দেখছি ওই ব্যক্তি ইমপ্ল্যান্ট খুলতেছে। আমরা মনে করেছিলাম তিনি ডাক্তার কিন্তু পরে শুনি ডাক্তার না।

এ বিষয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে আমি অথবা একজন আয়া এ কাজটি করে থাকি। তার (আরমানের ) সে রুমে যাওয়ার নিয়ম নাই। আরমান মিয়া দুই-আড়াই বছর ধরে ইমপ্ল্যান খুলে আসছে। এর জন্য সে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। কিন্তু টাকার নেওয়ার কোনো নিয়ম নাই। কিন্তু বিষয়টি স্যারকে অনেকবার জানিয়েছি।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহ্ নেওয়াজ বলেন, সে ইমপ্ল্যান্ট খোলার কথা নয়। যদি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, পিয়নের ইমপ্ল্যান্ট খোলার কোন সুযোগ নাই। বিষয়টি আমি জানলাম। এর আগেও আমি এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমি সহকারি পরিচালককে পাঠিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads