• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

বিশেষ কৌশলে ঘিওরে বাড়ছে চুরি, জনমনে আতঙ্ক

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০২২

মানিকগঞ্জের ঘিওরে চেতনা নাশক নেশাদ্রব্যর মাধ্যমে বিশেষ কৌশলে বাড়ছে চুরি। আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দরা।

জানা যায়, গত ৩ মাসে ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের ৩টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ছয় বাড়িতে ঘরের টিন কেটে এবং সিধ কেটে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাতের আধারে এসব ঘটনা ঘটলেও এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে চুরের সাথে জড়িত চক্ররা। গত শুক্রবার রাতে পয়লা ইউনিয়নের সাংবাদিক মামুন মিয়ার বাড়িতে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রের মাধ্যমে ঘরের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা সকলকে অজ্ঞান করে নগদ অর্থ স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।

এর আগে বড় পয়লা গ্রামের মুকুল বেপারীর বাড়িতে একই কৌশলে সংঘবদ্ব চুর চক্র চুরির প্রস্ততি নিয়ে রাতের আধারে বাড়িতে গেলে পাশের বাড়ির লোক জেগে ওঠায় চুরি করতে সক্ষম হয়নি চক্রটি। তবে ওই রাতেই একই গ্রামের রহিম কাজির বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙে সর্বস্ব লুট করা হয়।

আরো জানা যায়, রোজার ঈদের তিন দিন আগে উপজেলার পয়লা গ্রামের পয়লা বাসষ্ঠান্ডের এখলাছ মিয়ার বাড়ি ছোট পয়লা নুর মোহাম্মদের বাড়ি ও সাঈদ আলীর বাড়িতে একই রাতে সিধ কেটে চুরি করার ঘটনা ঘটে। এই চোর চক্রটি শুধু মানুষের বাড়িতেই নয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও চুরি করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে ক্ষতি করেছে ব্যবসায়ীদের। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দরা। একের পর এক চোরের ঘটনা ঘটলেও ধরা পড়ছে না চক্রটি।

ভুুক্তভোগী সাংবাদিক মামুন বলেন, গত শুক্রবার গভীর রাতে আমার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্রটি খুব দুর্দান্ত,তারা চুরি করার আগে ঘরের বেড়ার টিন কেটে ফাঁকা করে চেতনা নাশক নেশা দ্রব্য স্প্রে করে আমার বাড়িতে থাকা সকলকে অজ্ঞান করে। এরপর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। চেতনা নাশক নেশা দ্রব্যর কারণে এখন পর্যস্ত আমার বাবা মা অসুস্থ হয়ে আছে।

বড় পয়লা গ্রামের মুকুল বেপারি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন পরে আমার বাড়িতে চেতনা নাশক নেশা দ্রব্য স্প্রে করে চুরি করার প্রস্ততি নেয় চোর চক্রটি। আমার বাড়ির পাশের লোক জেগে ওঠায় চোর চক্রটি চুরি করতে পারে নাই। তবে আমি নেশা দ্রব্যের কারণে পরের দিন বমি করে হাসপাতালে ভর্তি হই।

আরেক ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক মন্টু কুমার দাস বলেন, আমার বাড়িতে চুরি করার আগে দিনের বেলায় কৌশলে পানির হাড়িতে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাখা হয়। আমি সন্ধ্যার খাবার অজ্ঞান হয়ে গেলে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসুযোগে রাতে আমার বাড়িতে চোর চক্রটি চুরি করে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, জানান, আমার কাছে ২ তিনটি বাড়ির চুরির যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানা আছে। আমি শুনেছি ওই এলাকার কিছু লোক নাকি এ চোরের সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারী রয়েছে। আশা রাখছি খুব শিগগিরই ভালো একটি অভিযান হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads