• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিনে মরল ১৪০০ হাঁস

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিনে মরল ১৪০০ হাঁস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০২২

বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

বাসাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ডাকপ্লেগ রোগের মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর রিপন সিকদার নামের এক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার প্রায় এক হাজার ৪০০ হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রিপন সিকদার বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ময়থা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

রিপন সিকদার জানান, এক বছর আগে ৪২ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ঘর তৈরি করে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রথম অবস্থায় তিনি এক হাজার হাঁস নিয়ে খামার শুরু করেন। এতে তার কিছু টাকা লাভ হয়। এরপর দ্বিতীয়বারে তিনি নাগেশ্বরী জাতের ডিমের জন্য এক হাজার ৭৩০টি হাঁসের বাচ্চা ও মাংসের জন্য বেলজিয়াম জাতের ৭০টিসহ মোট ১৮০০টি হাঁসের বাচ্চা খামারে তোলেন। হাঁসগুলোর এক মাস বয়সে গত ৫ জুন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ভ্যাকসিনের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সমপ্রসারণ) জাহিরুল ইসলামের কাছে ডাকপ্লেগ রোগের ভ্যাকসিনের জন্য যান রিপন। ওই সময় জাহিরুল ইসলাম তাকে ১৯টি ভ্যাকসিনের বোতল দেন। এরপর ৭ জুন রিপন হাঁসগুলোকে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। ভ্যাকসিন প্রয়োগের একদিন পর থেকে হাঁসগুলো মারা যেতে শুরু করে। ক্রমেই হাঁসের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কয়েকদিনের ভেতরে এক হাজার ৪০০টি হাঁসের মৃত্যু হয়। ওই সময় ভ্যাকসিনের বোতল চেক করলে দেখা গেছে, চলতি বছরের ২০ মে ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অভিযুক্ত উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সমপ্রসারণ) জাহিরুল ইসলাম বলেন, রিপন সিকদার নামের এক যুবক আমার কাছে এসেছিলেন। তাকে ২০টি ডাকপ্লেগ রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কয়েকটি হাঁস মারা যাওয়ার পর রিপন আমার কাছে এসে ১০টি ভ্যাকসিন ফেরত দিয়ে যান। পরে চেক করে দেখি ২০ মে ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন রিপন সিকদার আবার এসে বলছেন তার এক হাজার ৪০০ হাঁস মারা গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহাম্মদ বলেন, হাঁসগুলোর মৃত্যুর ঘটনাটি জেনেছি। মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন বিতরণ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads