• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রিমান্ডে স্বীকারোক্তি এএসআই বাবুলের

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই

রিমান্ডে স্বীকারোক্তি এএসআই বাবুলের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২২

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় এএসআই বাবুলের একদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভাঙ্গা থেকে তাকে ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোন্তাছীর মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

গোলাম মোন্তাছীর বলেন, গত বুধবার ফরিদপুরের তিন নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে বাবুল ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান মৃদুল মুন্সিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত বাবুলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং মৃদুলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসার জন্য আদেশ দেন। বাবুলকে বুধবার ভাঙ্গা থানায় আনা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুনরায় তাকে ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে মামলার তদারকি চলছে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাতে ভাঙ্গা পৌরবাজারের স্বর্ণকারপট্টির পলাশ বণিকের সোনার তরী জুয়েলার্স থেকে কয়েকটি স্বর্ণের বার কেনেন লোহাগড়ার পাপ্পু বিশ্বাস নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেখান থেকে রাতে একটি ভ্যানে পাপ্পু তার বন্ধু বিজয়কে নিয়ে লোহাগড়ার উদ্দেশে রওনা হন। স্বর্ণকারপট্টি পার হতেই এএসআই বাবুল ও তার সহযোগী তাদের পথরোধ করেন। এ সময় পাপ্পু চোরাই স্বর্ণ পাচার করছেন- এমন অভিযোগে তাকে ভয়ভীতি দেখান এএসআই বাবুল। তার দুই পকেটে থাকা ১১টি স্বর্ণের বারের মধ্যে চারটি নিয়ে নেন তিনি। পরে তাদের সেখান থেকে চুপচাপ চলে যেতে বলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads