• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় বছরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ টন মাছ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় বছরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ টন মাছ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান বলেন এ উপজেলার বেশীভাগ মানুষই অর্থনীতি উন্নয়নে মাছ চাষে যতেষ্ট ভূমিকা রাখছেন। মাছ চাষে বেশী লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ চাষ। এ উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৭২০ মে.টন মাছ। এ উপজেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৩৫৭৫ টন। উদ্ধৃত থাকছে ১১৪৫ টন। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বাইরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এ অর্থ বছরে ১৪৮ কোটি টাকার মাছ আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাছ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব সময় মৎস্য চাষিদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় অনেক জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় বছরের পর বছর পড়ে আছে। এগুলো মাছ চাষের আওতায় আনা গেলে এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক দুলাল ঘোষ, বিশ্বজিৎপাল বাবু, হান্নান খাদেম, মো: নাসির উদ্দিন, কাজী মফিকুল ইসলাম, জুটন বনিক, সাইফুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মিশু, মো: ফজলে রাব্বি,সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১০২.১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে মোট গ্রাম রয়েছে ১৩০টি। এরমধ্যে ছোট বড় পুকুরসহ প্রজেক্ট রয়েছে ২ হাজার ৮৭ টি,বিল রয়েছে ১৩টি, নদী ৩টি, খাল ৩টি, ও প্লাবণ ভূমি রয়েছে ৮টি। সেই সঙ্গে নিবন্ধিত জেলে ১৪৩০ ও মৎস্য চাষী রয়েছে ২১০৭ জন। তাছাড়া মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২১০ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ২৭৬ জনকে।

চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, মৃগেল পুটি, স্বরপুটি, কারফিউ, তেলাপিয়া, বোয়াল, গ্রাসকাপ, নাইলোটিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নানা প্রজাতির মাছ।

এদিকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাইকিং ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা, সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়, মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি সাফল্য নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মৎস্যচাষিদের মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানির গুনাগুন পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে মাছ যতেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। মৎস্য চাষিরা যাতে কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads