• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
বেশি মূল্যে সার বিক্রি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বেশি মূল্যে সার বিক্রি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০২২

মাসুদ রানা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)

নন্দীগ্রাম উপজেলার সর্বত্র ব্যবসায়ীদের জটিল সিন্ডিকেটের কারণে সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভরা আমন মৌসুমে লাগামহীন সারের দামে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। খোলাবাজারে সারের দাম বাড়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর এই সযোগে ক্রয়ের রশিদ ছাড়াই ইচ্ছেমতো সারের দাম নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। নন্দীগ্রাম উপজেলায় আমন ধান রোপণ শুরু হয়েছে, সেই সুযোগে কিছু অসাধু সার ব্যাসায়ী কৃষকদের কাছে সার সংকটের কথা বলে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক হারে বিভিন্ন ধরনের সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতে করে কৃষককে সার কনতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।

বর্তমানে নন্দীগ্রাম সদরসহ রনবাঘা, কুন্দারহাট, হাটকড়ই, শিমলা, পন্ডিতপুকুর, উমরপুর, বীজরুল, চাকলমা, নামুইট, ধুন্দারসহ বিভিন্ন হাট ও বাজারে সরকারের নির্ধারিত মূল্যেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসাধু সার ব্যাবসায়ীরা বেশি মূল্যে সার বিক্রি করছে। নন্দীগ্রামে ইউরিয়ার প্রতি বস্তা সরকারি মূল্যা আটশ টাকা কিন্তু ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করছে ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা। টিএসপি বিক্রি করার কথা ১১শ টাকা কিন্তু বিক্রি করছে ১২শ ৫০ টাকা থেকে ১৪শ টাকা। এমওপি বিক্রি করার কথা ৭৫০ টাকা কিন্তু বিক্রি করছে ১২শ ৫০ টাকা। ডিএপি বিক্রি করার কথা ৮শ টাকা কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে এক হাজার টাকা। নন্দীগ্রাম উপজেলায় সরকারিভাবে সার বিক্রির জন্য বিসিআইসি ডিলার আছে ১৩ জন এবং বিএডিসি ডিলার আছে ২৩ জন। ডিলাররা কৃষকের কাছে সরকারি মূল্যে সার বিক্রি করে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে গত বোরো মৌসুমে কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর ওই সকল অসাধু সার ব্যববসায়ী বেশি দামে সার বিক্রি করায় কৃষকরা আমন ধান আবাদ করে তেমন লাভবান হবেন না। বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, সার কিনতে গেলে তারা বেশি দাম নেয় কিন্তু তারা কোনো রশিদ দিতে পান না। দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। যার কারণে কৃষক বুঝতে পারেন না সরকারিভাবে সারের মূল্য কত। ডিলার প্রতিনিধি আলহাজ মোখলেছার রহমান জানান, সারের বরাদ্দ কম থাকায় কিছু সমস্যা হয়েছে, সারের বরাদ্দ বাড়লে ওই সমস্যা থাকবে না। ডিলার প্রতিনিধি কোরবান আলীও একই কথা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, আমার জানামতে নন্দীগ্রাম বাজারে কেউ সারের দাম বেশি নিচ্ছেন না। যদি কেউ নেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads