নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশী তদন্ত না করে মামলা রেকর্ডের ফলে বিনাদোষে জিয়ারুল ইসলাম জিনার (৩৮) নামের এক যুবক কারাবাস ভোগ করছেন। এতে ওই যুবকের পরিবার ও গ্রামবাসী পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠায়। কারাবাসে আটক জিয়ারুল ইসলাম জিনার (৩৮) উপজেলার একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
জানা গেছে, স্থানীয় ভিন্ন একটি চেকের মামলায় ভূক্তভোগী জিয়ারুল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আরিফ হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাক্ষী দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই আরিফ। পরে থানা চত্বরে জিয়ারুলকে ওই আরিফ হুমকি দিয়ে বলেন ‘আজই তোকে হাজতে পাঠাবো'। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় নিজের খালা নাজিরপুর গ্রামের রাবেয়া বেগমকে বাদী করে স্থানীয় একটি মারামারি মামলায় ২ নং আসামী হিসেবে জিয়ারুল ইসলাম জিনারের নাম লিপিবদ্ধ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। সেখানে জিয়ারুল ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু ওই মারামারির সাথে কোনই সংশ্লিষ্টতা নাই জিয়ারুলের। এমনকি মামলার বাদী রাবেয়া বেগম নিজেই জানেন না যে ২নং আসামীর নাম হিসেবে জিয়ারুলের নাম রয়েছে। উনি এই নাম অন্তর্ভূক্তের জন্য ভাগ্নে আরিফকে দায়ী করেছেন।
মারামারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মামলার তদন্ত না করে মামলা রেকর্ড করা এবং জিয়ারুলকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো একটি বড় ধরণের মিসটেক হয়েছে। চার্জসীট থেকে জিয়ারুলের নাম বাদ দেওয়া হবে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জিয়ারুল যেনো অযথা হয়রানী না হয়। তিনি দ্রুত এই মামলা থেকে যেন অব্যহতি পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(খন্দকার তানজিবুৃল আহমেদ)
নাটোর প্রতিনিধি