সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরী থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এবং নিয়মবহির্ভূত ভাবে দুটি পাসপোর্ট করার অপরাধে শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার(৩০)কে শোক করছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
গত ২৮মার্চ তাকে শোকজ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মোহন লাল দাশ। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তাহেরা আক্তার তাহিরপুর উপজেলার রাছিনগর মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও বালিজুরী ইউনিয়নের পুরান বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে।
তিনি সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে মেশিন রিডেবল (এমআরপি) পাসপোর্ট করেন,শিক্ষার্থী কোটায় যাওয়ার জন্য তিনি নিজেকে শিক্ষার্থী পরিচয়ে ডিজিটাল(ই)পাসপোর্ট করেন এছাড়াও সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ ডিগ্রি ও সিলেটের এমসি কলেজে লেখাপড়া করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়ের জানান,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমার কাছে শিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের সম্পর্কে লেখা পড়া করা ও দুটি পার্সপোটের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি জানিয়েছি দুটি বিষয়ে কোনো অনুমতি নেয়নি এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান,আমেরিকান প্রবাসী নজরুল আহমেদের সাথে তাহেরা ভালবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ি করার জন্য টাকা,বোনদের চাকরী ও বিয়ে দিতে টাকা,দামী আইফোন,মূল্যবান জিনিসপত্রসহ নিয়েছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আর লোক মুখে শুনতেছি। এই বিষয়টি তার একান্ত ব্যক্তিগত এ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে তার চাকরীরত থাকা অবস্থায় কোনো অনিয়ম হলে পদক্ষেপ নিব।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার জানান,এটি আমার ও আমার কতৃপক্ষের বিষয় এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে আমি ইচ্ছুক না। এই বিষয়ে আমি আমার কতৃপক্ষকের সাথে বুজব।